শিরোনাম
◈ আসলেই কি তেলাপিয়া জান্নাতি মাছ? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম ◈ ভিসা জটিলতায় বিপাকে বাংলাদেশি গবেষকরা, অস্ট্রেলিয়া কনফারেন্সেও যোগ দিতে ব্যর্থ অনেকেই! ◈ নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে হেনস্তা : কারণ জানালেন জামায়াত নেতা ডা. তাহের ◈ রোগী ভাগাভাগি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭ ◈ বাংলাদেশে আরেকজন স্বৈরশাসকের উত্থান রোধ করাই সংস্কারগুলোর লক্ষ্য: প্রধান উপদেষ্টার ◈ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারির আদেশ ◈ যে গ্রামে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা ◈ আজ পাকিস্তানের বিরু‌দ্ধে জিত‌লেই এ‌শিয়া কা‌পের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ, হার‌লে বিদায় ◈ তামিম ইকবাল - বুলবুল নাকি আসিফ মাহমুদ-ইশরাক, বিসিবি নির্বাচন ঘিরে কী ঘটছে?  ◈ ৬৪ দল নিয়ে ২০৩০ সা‌লের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা ফিফার

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৬ দুপুর
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোরগ ও গাধার ডাক: অদৃশ্য জগতের আধ্যাত্মিক সংকেত।

মানবদৃষ্টির আড়ালে বিস্তৃত রয়েছে এক অদৃশ্য জগৎ। যেখানে ফেরেশতা ও শয়তান উভয়েরই বিচরণ। আমরা সাধারণত তাদের দেখতে পাই না, কিন্তু প্রকৃতির কিছু প্রাণী সেই জগতের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে। তাই মাঝে মাঝে প্রাণীর ডাক আমাদের জন্য হয়ে ওঠে আধ্যাত্মিক সংকেত।

কখনো রহমত প্রার্থনার, কখনো শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়ার। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন-
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيَكَةِ فَاسْأَلُوْا اللهَ مِنْ فَضْلِهِ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا وَإِذَا سَمِعْتُمْ نَهِيْقَ الْحِمَارِ فَتَعَوَّذُوْا بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ رَأَى شَيْطَانًا

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে দু‘আ কর। কেননা এ মোরগ ফিরিশতাদের দেখে আর যখন গাধার আওয়াজ শুনবে তখন শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে, কেননা এ গাধাটি শয়তান দেখেছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৩০৩)

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা 

মোরগের ডাক ও ফেরেশতা দেখা

এই হাদিসের ভাষ্য ও ইসলামী আকীদা অনুযায়ী ফেরেশতারা নূরের সৃষ্টি। আল্লাহ তাদেরকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করেছেন। মানুষের দৃষ্টিতে তারা সাধারণত অদৃশ্য। তবে প্রাণীরা তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে।

মোরগ সেই বিশেষ প্রাণী যাকে ফেরেশতা দেখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যখন সে ফেরেশতা দেখে, তখন ডাক দেয়। তাই রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন যে, এসময় আল্লাহর রহমত চাইতে হবে। কেননা ফেরেশতারা সর্বদা আল্লাহর রহমত ও বরকতের বাহক।

গাধার ডাক ও শয়তান দেখা

শয়তান হচ্ছে ধোঁয়াহীন আগুনের সৃষ্টি। মানুষ সাধারণত তাদের দেখতে পায় না। কিন্তু কিছু প্রাণী তাদের উপস্থিতি টের পায়। গাধা যখন শয়তানকে দেখে, তখন অস্বাভাবিক আওয়াজ করে। তাই রাসুল (সা.) বলেছেন, এসময় তোমারা শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে।
পৃথিবীর প্রাণীজগৎও অদৃশ্য জগতের প্রভাব অনুভব করে। মানুষের অক্ষম দৃষ্টি যা ধরতে পারে না, তা প্রাণীরা অনুভব করতে পারে। মোরগের ডাক আমাদের জন্য রহমতের ইঙ্গিত, আর গাধার ডাক সতর্কতার ইঙ্গিত।

এ হাদিস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, প্রকৃতির ঘটনাকে অবহেলা নয় বরং ইবাদতের সুযোগ হিসেবে নিতে হবে।

দৈনন্দিন জীবনে করণীয়

যদি ভোরে বা অন্য সময়ে মোরগের ডাক শোনা যায়, তখন সাথে সাথে দোয়া করা উচিত। যেমন—

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ»

উচ্চারণ:  আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিক। 

অর্থ: “হে আল্লাহ, আমি তোমার অনুগ্রহ চাই।”

গাধার ডাক শোনার সময় বলা উচিত—

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম

অর্থ: “আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”

এই হাদিস আমাদের আরও শিখাচ্ছে যে, মানুষের দৃষ্টির বাইরে একটি অদৃশ্য জগৎ আছে। ফেরেশতা ও শয়তান বাস্তব সত্তা।তাদের উপস্থিতি মানুষ অনুভব করতে না পারলেও প্রাণীরা তা অনুভব করে। আর মুমিনকে এসব ঘটনার সময় সজাগ থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া ও আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। উৎস: কালের কণ্ঠ 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়