স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ৪ রান। এই রান পেলেই সিরিজ সমতায় ফিরবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি সেই বলটি ওয়াইড দেওয়ায় স্বাগতিকদের জয়ের সম্ভাবনা যেন আরেকটু বেড়ে গিয়েছিল।
এরপর শেষ বলটি খেলার জন্য অফ স্টাম্পের দিকে একটু সরে এসে তা ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দলকে দারুণ জয় এনে দিয়েছেন জেসন হোল্ডার।
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে শেষ হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ২ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফিরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টানা ৬ টি-টোয়েন্টিতে হারের পর প্রথম জয়ের দেখা পেল ক্যারিবিয়ানরা। আর ঘরের মাঠে এই ফরম্যাটে তারা জয় পেল ৯ ম্যাচ পর।
শেষ বলে চার হাঁকিয়ে জয়ের নায়ক হোল্ডার ম্যাচের প্রথম ভাগে দারুণ বোলিং করে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ৪ উইকেট শিকার করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মালিক হন তিনি। ডানহাতি এই পেসারের উইকেট এখন ৮১টি। ছাড়িয়ে গেছেন ৭৮ উইকেট নেওয়া ডোয়াইন ব্রাভোকে।
ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের দুই ওপেনারকেই ফেরান হোল্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো সাইম আইয়ুবকে (৭) এবং চতুর্থ ওভারে সাহিবজাদা ফারহানকে (৩) তুলে নেন তিনি। শুরুর এই ধাক্কা পরে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি সফরকারীরা।
পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও হাসান নাওয়াজের জুটিতে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফিরতি ক্যাচে নাওয়াজকে (৪০) তুলে নিয়ে ৬০ রানের এই জুটি ভেঙে আবারও তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান হোল্ডার। পরের ওভারে ৩৮ রান করা সালমানকে ফেরান গুদাকেশ মোটি। পরের ব্যাটারদের আর কেউ দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে না পারায় দেড়শর অনেক আগেই থামে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। ২৬ রানের ভেতর দুই ওপেনারকে হারায় তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পাশাপাশি তাদের কোনো জুটি থেকেও তিরিশ রান আসেনি। কারোর ব্যাট থেকেও আসেনি তিরিশ ছোঁয়া কোনো ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মোটি।
নাটকের সবটা জমানো ছিল শেষ দুই ওভারের জন্য। ক্যারিবিয়ানদের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। হাসান আলীর করা ১৯তম ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার মেরে শেষ ওভারের জন্য সেই সমীকরণ ৮ রানে নিয়ে আসে রোমারিও শেফার্ড।
শাহিনের করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে শেফার্ডকে স্ট্রাইক দেন হোল্ডার। কিন্তু পরের বলেই এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন শেফার্ড (১৫)। পরের তিন বলে ৩ রান দেন শাহিন। এরপর শেষ বলে চাপ ধরে রেখে দলকে জয় এনে দেন হোল্ডার। ১৯ রানে ৪ উইকেট ও ১০ বলে অপরাজিত ১৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ সময় সোমবার একই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।