শিরোনাম
◈ গণহত্যার ভার বইতে না পেরে ইসরায়েলি সেনাদের আত্মহনন: যুদ্ধে ফেরেনি প্রায় ১ লাখ সেনা: গণমাধ্যম ◈ ফ্যাসিস্ট হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে: শাহবাগে ছাত্রসমাবেশে মির্জা ফখরুল ◈ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা উন্নয়নে এডিবি-বাংলাদেশের ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি ◈ সৌদি আরবে একদিনে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ◈ শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন এনসিপি নেতাকর্মীরা ◈ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ৫ আগস্ট পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা ◈ সুখবর এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের জন্য ◈ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর শাহবাগ (ভিডিও) ◈ সব ব্যক্তিশ্রেণির জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক, কিছু শ্রেণি ছাড়ের আওতায় ◈ কালীগঞ্জে আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির শতবর্ষী গাছ উপড়ে পড়ল ভবনের উপর, আহত ১ 

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:২৪ দুপুর
আপডেট : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি

ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার ছয়টি উপজেলার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকূপা উপজেলায় সবজি ক্ষেত, ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা আমন ধান ডুবে গেছে।

বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক কৃষক এখনও জমিতে নতুন করে ধান রোপণ করতে পারছেন না।

সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান বলেন, "আমার দুই বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। পানি কবে নামবে জানি না। পানি নেমে গেলে আবারও ধানের চারা রোপণ করতে হবে। কিন্তু এখন চারা পাব কোথায়?"
কোটচাঁদপুরের কৃষক আশাদুল ইসলাম বলেন, “টানা বৃষ্টিতে আমার এক বিঘা জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে রোপণ করলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে।”

মহেশপুরের রমজান আলী বলেন, “আমারসহ অনেক কৃষকের জমি ডুবে আছে। চিন্তার ভাজ কপালেÑএই বছর আমন ধান আদৌ ঘরে তুলতে পারব কিনা জানি না।”

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায় বলেন, “কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা সমাধান করা হয়েছে, বাকি অংশেও কাজ চলছে।”

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়