স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল ম্যাচে ইসরায়েল-বিরোধী তীব্র বিক্ষোভের ঘটনায় মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অল বয়েজ ক্লাবের সমর্থকরা আটলান্টার বিপক্ষে ম্যাচের সময় ইরান ও ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে, ইসরায়েলি প্রতীক সম্বলিত কালো কফিন প্রদর্শন করে দেশটির সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
আটলান্টা ক্লাবটি ঐতিহাসিকভাবে আর্জেন্টিনার ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এই বিক্ষোভ আরও বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। -- চ্যানেল২৪
ম্যাচ শুরুর আগে মুখোশধারী অল বয়েজ সমর্থকরা ফ্লোরেস্টার স্টেডিয়ামের বাইরে ইসরায়েল ও আটলান্টার পতাকাযুক্ত একটি কফিন বহন করে এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে বিক্ষোভ করে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। স্টেডিয়ামের ভেতরে ‘ইসরায়েলের গণহত্যাকারী শাসনের মৃত্যু হোক’ লেখা ব্যানার প্রদর্শিত হয় এবং দর্শকদের মধ্যে ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ম্যাচের মাঝপথে ফিলিস্তিনি পতাকা বহনকারী একটি ড্রোন মাঠের উপর দিয়ে উড়লে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
গত বছরও এই দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে একই ধরনের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, যা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ক্ষোভের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৭ জুন পাঁচজন অল বয়েজ সমর্থককে ইসরায়েল-বিরোধী স্লোগান ও কফিন বহনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। বুয়েনস আইরেস ফুটবল নিরাপত্তা কমিটি তাদের স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এদের মধ্যে প্রধান সংগঠক গ্যাস্টন পানজিনি ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান আর ক্লদিও ওজেদা, লুকাস কালবানেস, গুস্তাভো দেল কান্তো ও লিওনার্দো দি লরেঞ্জো এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পান। এছাড়া, ক্লাবটিকে দুটি ম্যাচে ড্রাম ও ব্যানার নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয় এবং বৈষম্যবিরোধী বার্তা প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়।