মনিরুল ইসলাম: বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার যে জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে তা জাতিকে ভুলে গেলে চলবে না। যারা সেই ইতিহাস মনে রাখে না, তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশা তো দূরের কথা, এমনকি তাদের চেহারা দেখা পাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর এলাকায় অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
“আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতকারীদের সদস্যপদ নয়”
আমিনুল হক বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন—তাদেরই সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করা হবে। সদস্য পদ নবায়নে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামী লীগ করে, বা যাদের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি রয়েছে—তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না।”
“নির্বাচন বিলম্বে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র”
আন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের আশা করা হলেও, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে তা বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আমিনুল হক। বলেন, “আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচন ঠেকাতে তৎপর।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এখন মানুষ ভোট দিতে চায়। লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর মানুষের মধ্যে আশার আলো জেগেছে। আমরা আশাবাদী, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
“বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়”
দলে অনিয়মকারী, লুটপাটকারী বা চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এমন কাউকে সদস্য করা হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট নেতাকেই নিতে হবে।”
সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান বলেন, “মোনাফেক দিয়ে দলের কল্যাণ হতে পারে না। আমাদের ঈমানি দায়িত্ব হলো ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা।”
দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার ও বিমানবন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনির হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবলু ও দেলোয়ার হোসেন দিলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:
মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, আলী আকবর আলী, মোতালেব হোসেন রতন, হাফিজুল হাসান শুভ্র, রফিকুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম রাহিমী, আহসান হাবীব মোল্লা, মতিউর রহমান মতি, দেওয়ান নাজিম উদ্দিন, মো. শাহজালাল, আনোয়ার হোসেন জমিদার, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আসলাম, মহিউদ্দিন তারেক, শরীফ উল্লাহ জাহিদ, জালাল আহমেদ, বশির আহমেদ, মাসুদ খান, মো. মোস্তফা, আব্দুল আলী, আলমগীর হোসেন শিশির, হযরত আলী, আব্দুর রউফ ও রানা হোসেন রুবেল।