মনিরুল ইসলাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, “তারেক রহমান কেবল একজন মানুষ নন, তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে আজ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ।”
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ)’ আয়োজিত ‘রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু।
তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে মন্তব্য
লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে সমালোচনার জবাবে জাহিদ বলেন, “আপনারা প্রতিদিন যমুনায় যান, তারপর প্রেস ব্রিফিং দেন—তাতে কোনো সমস্যা নেই। তাহলে তারেক রহমান ও মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক এবং তার প্রেস ব্রিফিং নিয়ে এত অস্বস্তি কেন?”
তিনি সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা কি জাতির হোলসেলার? ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে কথা বলার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই, অথচ জাতির পক্ষ থেকে কথা বলেন!”
তারেক রহমানের নেতৃত্ব ও ভূমিকা
এজেডএম জাহিদ বলেন, “তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে নয়, নিজের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী জনমানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব আজ প্রতিষ্ঠিত।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠনের পর দেশের মধ্যে অস্থিরতা অনেকটা কমেছে, মানুষের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।”
নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি
বিএনপি নেতা বলেন, “তারেক রহমান আগেই বলেছেন, ডিসেম্বর বা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে। তবে আমরা বলছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, তাহলে এর পরিণতি ভিন্ন হতে পারে।”
বিরোধী দলের প্রতি প্রশ্ন
বিরোধী রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে জাহিদ বলেন, “আমরা ৩১ দফা দিয়েছি, আপনাদের ম্যান্ডেট কী? জনগণের কাছে যান, আপনাদের প্রস্তাব দিন। জনগণ যাকে গ্রহণ করবে, তিনিই নেতৃত্বে আসবেন।”
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনআরএফ-এর আহ্বায়ক সৈয়দ আবদাল আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন এবং অধ্যাপক ড. বজলুল গণি ভূঁইয়া।