মনিরুল ইসলাম: দেশে ফিরে গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেড় বিঘা জমির উপর এই ডুপ্লেক্স বাড়িটি বেগম খালেদা জিয়ারই। কয়েকদিন আগে অন্তর্বর্তী সরকার এই বাড়িটির নামজারির কাগজ তার হাতে তুলে দেন। বাড়িটি আগে ভাড়ায় ব্যবহার করতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ। জানা গেছে, ৬ মাস আগে বাড়িটি এই কোম্পানি ছেড়ে দিয়েছে। এরপর এটি তারেক রহমানের থাকার উপযোগি করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়েছে। বাড়িটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত বলেই তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
আজ বুধবার সকালে বিএনপি বিটের সাংবাদিক গ্রুপের নেতা ও নয়া দিগন্তের সিনিয়র সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খানের এফবিতে দেওয়া এক পোষ্ট থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত এই বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাড়িটি খালেদা জিয়া গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের যে বাড়িতে থাকেন, সেটির কাছেই । এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেনানিবাসের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে সেখান থেকে বেগম জিয়াকে একরকম টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়।
সরেজমিনে ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, সাদা রঙের দোতলা ছায়াঘেরা বাড়িটির বহিরাঙ্গন বেশ পরিপাটি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির ভিতরটাও অত্যন্ত নান্দিকভাবে সাজানো হয়েছে। গতকয়েকমাস ধরে এই সাজানোর কাজটি চলে, যা এখন পুরোপুরি শেষ। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা: জুবাইদা রহমানও লন্ডনে যাওয়ার আগে বাড়িটি পরিদর্শন করে গেছেন।