শিরোনাম
◈ এবার দলের ফান্ডের জন্য টি-শার্ট-মগ-বই বিক্রি করবে এনসিপি ◈ মুক্ত পরিবেশে এবার ফিরোজায় ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া, নেতারা থাকবেন নিজ নিজ এলাকায় ◈ ডা: জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমানের নামে কখনোই কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল না, এখনো নেই : রিজভী  ◈ রেমিট্যান্সে রেকর্ড গতি: ঈদের আগেই এলো ৬০ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক ভিসায় নতুন চাপ: দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্টে মোটা অঙ্কের ফি প্রস্তাব ◈ কবে খুলবে নগর ভবনের তালা, যা জানালেন ডিএসসিসি প্রশাসক ◈ জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা ◈ কোরবানির হাটে স্বস্তি, লাখে ২০-৩০ হাজার টাকা কম দামে গরু বিক্রি ◈ পর্তুগাল‌কে ফাইনা‌লে তুল‌লেন রোনালদো, জার্মা‌নির স্বপ্নভঙ্গ ◈ যুক্তরাজ্যে প্রধান উপদেষ্টার সফর, লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক হবে কি?

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৫, ০৮:৪৮ রাত
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২৫, ১১:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পক্ষে বিএনপি, সরাসরি ভোটে সময় এখনও আসেনি: সালাহউদ্দিন আহমদ

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে আপাতত এই আসনে সরাসরি ভোট নয়, দলীয় মনোনয়নের পক্ষে তারা। বিএনপি মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বিকেলে সেখানে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। ঈদের ছুটির আগে আজই দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনার শেষ দিন ছিল।

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি আনুপাতিক। এখন আসন আছে ৫০টি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আরও ৫০টি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় সব দলের একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে। তবে এর নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনও হয়নি। আরও আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো... ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি পদ্ধতি যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা সংসদীয় সংস্কৃতিতে ভিজিবল (দৃশ্যমান) বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য বলেছি, আরও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো এক বা দুটি সংসদ চলার মধ্য দিয়ে এটি এমন একটি অবস্থায় যাবে, যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যাবে।’

দেশের নারী সমাজের এখনও সেরকম অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তাদের (নারীদের) আরও বেশি এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিশেষ বিধান রাখা উচিত। সমাজ একটা পর্যায়ে পৌঁছালে তখন আর হয়তো বিশেষ বিধান রাখার প্রয়োজন নাও হতে পারে। তার আগ পর্যন্ত রাখতে হবে।

দুপুরের পরে দুটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথমটি হলো সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং দ্বিতীয়টি সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ও সেটির নির্বাচন পদ্ধতি। এর বাইরে যে এজেন্ডাগুলো ছিল, সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে করার প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছিল, সব সভাপতির পদ বিরোধী দলীয় সদস্যদের দেওয়া যায় কি না। এ বিষয়ে প্রথম পর্বের আলোচনায় প্রত্যেকে লিখিত ও মৌখিক জবাব দাখিল করেছিল। কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধী দলীয় সদস্যদের দেওয়ার ব্যাপারে তখনই প্রায় সকল দল একমত হয়েছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে আরও কয়েকটি এ জাতীয় সংসদীয় কমিটি দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে সংসদে জবাবদিহি ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের মনোনীত করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে মনে হয়েছে। তবে কয়টি সংখ্যা ও কোন কোন মন্ত্রণালয় সেটি এখনই নির্ধারণ হবে না। সেটি জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এবং বিরোধী দলের আকারের বিষয়টিও ভূমিকা রাখবে। সেই সংখ্যা তখন নির্ধারণ করা যাবে। কারণ, বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা কম হলে এখনই এই শতাংশ নির্ধারণ করা হলে সেটি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।

এর আগে সকালে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নিম্নকক্ষে নারী আসনসহ সংস্কার কমিশনগুলোর আরও কিছু সুপারিশ নিয়ে দেশের ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার এই আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি, এনসিপিসহ দেশের ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোটের নেতারা এতে অংশ নেন। উৎস: প্রথম আলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়