মনিরুল ইসলাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, তারুণ্যের এই মহাসমাবেশ বিরাট বার্তা দিচ্ছে। যা আমাদের আন্দোলিত করেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমানুষের আকাঙ্খার সরকার। সরকার আস্থার প্রতীক ছিল। তাদের কাছ থেকে আস্থার কিছু পাইনি। শুধুই অবজ্ঞা পেয়েছি। সরকার ঔপনিবেশিক সরকার। তারা ৯ মাসে যা পারেনি, ৯ বছরেও পারবে না এবং ৯০ বছরেও তা পারবে না। অতএব জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে কী করবেন করেন।
তিনি বলেন, করিডোর নিয়ে কথা হচ্ছে। লাভ-লোকসান দেখতে চাই না। যেমন ছিলাম তেমনই থাকতে চাই। আবার নিউম্যুরিং টার্মিনাল দিয়ে দিতে চাচ্ছেন। দেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না। স্টারলিংক এনেছেন কার জন্য? আরাকান আর্মির জন্য। আমরা কিন্তু স্টারলিংক ছাড়াই চলেছি। করিডোর কার জন্য? আরাকান আর্মির মালমসলা পাঠানোর জন্য। আমরা জীবন থাকতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অটুট রাখব।
চাঁদাবাজির বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই চাঁদাবাজি করে বিএনপির নাম ব্যবহার করে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব, আপনারা চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করেন না কেন?
বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না সভাপতিত্ব করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির সঞ্চালনা করেন।
এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।