রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতা জবরদখল করে রাখা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী প্রায় শতাধিক ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরো সহস্রাধিক মানুষ।
[৩.১] তিনি বলেন, শনিবার আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়ে আজ সমগ্র দেশে তারা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র নেতাকর্মী জমায়েত করে গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতার ওপর লেলিয়ে দেয়।
[৩.২] ঢাকার ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরী, মিরপুর, উত্তরা, তোপখানা রোড সহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ করে। সমগ্র দেশকেই আজ রণক্ষেত্রে পরিণত করে হত্যা, নির্যাতন ও বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
[৪] রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণ-আন্দোলনে গুলি, হত্যা, দমন, নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
[৫] বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ দুপুর থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য ইন্টারনেট, ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়। আন্দোলন দমন ও ভায়ভীতি প্রদর্শন করতে আজ সন্ধ্যা থেকে আবারও সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, বরাবরের মতো আজও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএসএমএমইউসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে এর দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে।
[৭] মির্জা ফখরুল নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি আহত সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
[৮] বিএনপি মহাসচিব দেশবাসী সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি সফল করার এবং একই সঙ্গে নিজ নিজ এলাকায়ও আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখারও রাখার আহ্বান জানান। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরএইচ/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :