খালিদ আহমেদ: সালমন রুশদির ওপর হামলার প্রেক্ষিতে এবার নিজের মতামত প্রকাশ করলেন তসলিমা নাসরিন। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানের আগে হামলা করা হয় বিশিষ্ট লেখক সালমন রুশদির উপর। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার নিজের মতামত প্রকাশ করলেন তসলিমা নাসরিন। সালমনের মতো তসলিমাও ইসলামের বিরুদ্ধে নিজের ভাব প্রকাশ করেছেন লেখার মাধ্যমে। তা নিয়ে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকেও। এই আবহে সালমনের উপর হামলায় হতবাক তসলিমা।
এক টুইট বার্তায় তসলিমা লেখেন, ‘আমি এইমাত্র জানতে পেরেছি যে সালমান রুশদির ওপর নিউইয়র্কে হামলা হয়েছে। আমি সত্যিই হতবাক। আমি কখনই ভাবিনি এটা ঘটবে। তিনি পশ্চিমে বসবাস করছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে তাঁকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। যদি তাঁকে আক্রমণ করা হয়, ইসলামের সমালোচনা করা যে কাউকে আক্রমণ করা হতে পারে। আমি চিন্তিত।’ অপর একটি টুইটে তসলিমা আরও লেখেন, ‘কেউ কেউ বলছেন কেন রুশদি আক্রান্ত হলেন সেই কারণ জেনে নিয়ে মন্তব্য করবেন। আমার তাঁদের কাছে প্রশ্ন, তাঁকে আক্রমণের নেপথ্য যে ইসলামপন্থীরাই আছে তা বোঝা কি খুব শক্ত? কারণ রুশদি দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিশানায় ছিলেন।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিম নিউ ইয়র্কের একটি কাউন্টিতে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল রুশদির। পরিচিতি দেওয়ার সময় এক ব্যক্তি মঞ্চে উঠে পড়েন। এরপরই লেখককে ঘুষি মেরে তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হতে থাকে।
১৯৮৮ সাল থেকে ইরানে নিষিদ্ধ আছে রুশদির লেখা 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'। একাধিক মুসলিম সংগঠনের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন সালমন। পরে ১৯৮৯ সালে ইরানের নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই 'ফতোয়া' জারি করেছিল। রুশদিকে হত্যার ডাক দিয়েছিল। খামেনেই বলেছিল, যে সালমনকে হত্যা করবে তাঁকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। পরে সেই পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়েছিল ২০১২ সালে। যদিও নিজের উপর কোনও ধরনের হুমকির কথা অস্বীকার করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :