শিরোনাম
◈ তাইজুলের ১০ উইকেটে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ ◈ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প  ◈ ৭৫’র পরে ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃত করেছে বিএনপি-জামায়াত: জয় (ভিডিও) ◈ হাজারেরও বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ◈ ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী ◈ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত ◈ কাশিমপুর কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু ◈ উদ্বোধনের প্রথম দিনেই কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু ◈ ব্যাগ ধরে টান দিল ছিনতাইকারী, পড়ে গিয়ে পা ভাঙল শিক্ষিকার ◈ ৬৩টি রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছে: বিএনপি

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:৪৫ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটি মুদ্রাদোষমুক্ত কণ্ঠস্বর কিভাবে পাবো?

আহসান হাবিব: [১] একটি মুদ্রাদোষমুক্ত কণ্ঠস্বর কীভাবে পাবো? পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যার কণ্ঠস্বরে কোনো মুদ্রাদোষ নেই। কেউ নাকি (Nasal) সুরে, কেউ দাঁতে দাঁত চেপে (Clenched), কেউ আবার কড়া স্বরে (Hard glottal fry), কেউ বা আবার নিচু স্বরে কর্তৃত্ব ভাব এনে কথা বলেন। এতে কণ্ঠস্বরের উপর বহিঃস্থ চাপ পড়ে, ফলে পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কণ্ঠ। খুব কম মানুষই একে পাত্তা দেয়। আমরা যাকে ধ্বনি বলি তা উৎপন্ন হয় স্বরগ্রন্থির কম্পনের ফলে। সেই ধ্বনিকে স্বর ও ব্যঞ্জন বর্ণে পরিণত করি মুখমণ্ডলের সঠিক ভঙ্গি বজায় রেখে। সবাই জানেন স্বরবর্ণ উচ্চারিত হয় মুখমণ্ডলের ভেতরের কোনো অঙ্গকে স্পর্শ না করে কিন্তু ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারিত হয় সুনির্দিষ্ট স্থান স্পর্শ করে। মুদ্রাদোষ মুক্ত কণ্ঠস্বর পেতে প্রথমেই জানা চাই এই স্থানগুলোর সঠিক অবস্থান। যেমন কোনটা তালু, কোনটা দন্তমূল, কোনটা ঠোঁট স্পর্শ করে। এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হোল চোয়ালের স্বাভাবিক ও মুক্ত নড়াচড়া করতে বাধা না দেয়া। এসব কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ঘটে। 

নাসিক্য ধ্বনি (ম, ন, ণ, অনুস্বর, চন্দ্রবিন্দু ইত্যাদি) উচ্চারণের সময় ব্যবহৃত বাতাস নাকের ভেতর দিয়ে বাইরে আসে এবং অন্যান্য বর্ণ উচ্চারণের সময় মুখের ভেতর দিয়ে বাইরে আসে। এটিও স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ঘটে। কিন্তু অনেকেই সচেতনভাবেই এর ব্যত্যয় ঘটান, ফলে কণ্ঠস্বর হয়ে পড়ে মুদ্রাদোষযুক্ত। তবে মুখ ও নাকের বাতাসের সঠিক মিশেল অতিরিক্ত নান্দনিক বোধের সৃষ্টি করতে পারে। আসুন আমরা চেষ্টা করি স্বাভাবিক, সুন্দর, রঙ্গিন, মুদ্রাদোষমুক্ত কণ্ঠস্বর অর্জনের।

[২] যখন ঠাণ্ডা লাগে : একজন শিল্পী প্রশ্ন করলেনÑ যখন ঠাণ্ডা লাগে তখন কি রেওয়াজ করা উচিত? আমি বললামÑ না, বন্ধ রাখা উচিত। কেন? বললাম, স্বরগ্রন্থি নানা কারণে পরিবর্তন হয়, সবচাইতে সাধারণ কারণ হলো ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া। এই সময় স্বরগ্রন্থির উপরে যে পর্দার আবরণ থাকে তা ফুলে লাল হয়ে ওঠে। এর ফলে স্বরগ্রন্থির কিনার মোটা হয়ে কণ্ঠের পিচ কমিয়ে ফেলে, কণ্ঠও কর্কশ শোনায়। বললাম, এছাড়াও স্বরগ্রন্থির আকার পরিবর্তন হয়, যেমন পলিপ কিংবা প্যাপিলোমা বা নোডিউল হলে। এসময় স্বরগ্রন্থির স্পন্দনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং মৌলিক কম্পাঙ্ক কমে যায়। অনেক সময় হরমোন বা পরিপাকজনিত সমস্যাও স্বরগ্রন্থির আকারে প্রভাব ফেলে। যদি ঠাণ্ডা লেগে যায়, রেওয়াজ বন্ধ রাখুন, বিশ্রাম নিন। সঠিক বিশ্রামও রেয়াজের একটি অংশ। লেখক: ঔপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়