শিরোনাম
◈ আদালতের রায়ের আগেই গোপনে দেশ ছাড়লেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ◈ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে কখন, কোথায় দেখা যাবে ◈ পরিবর্তন আনা হয়েছে যে ৪৬ আসনের সীমানায় ◈ টেলিকম খাতে চার ধরনের লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা অনুমোদন, সুলভে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের প্রত্যাশা ◈ ড. ইউনূস ও গোয়েন লুইস বৈঠক: ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থন জাতিসংঘের ◈ বিলাসবহুল রিসোর্টেও সুনসান নীরবতা, বিদেশি পর্যটকের অপেক্ষায় উত্তর কোরিয়া ◈ যশোরে অভিযানে যাওয়া সিআইডির ৪ সদস্যের ওপর হামলা ◈ ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, মাথায় চাপ দিবেন না’, মামুনের মাথার খুলি ফ্রিজে ◈ নেপালে বন্ধ হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ ২৬টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, সরকারের কড়াকড়ি ◈ ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২৩, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট : ১২ জুন, ২০২৩, ০১:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. ইঊনূস সমাজসেবার নামে ট্যাক্স ফাঁকির মতলবে ছিলেন

ড. ইঊনূস

এ বি এম মাহমুদুল হাসান: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও ১২ কোটি টাকা আয়কর দিতে হবে। গত ৩১ মে হাইকোর্ট  তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দান করা টাকার ওপর ইউনূসকে এই কর দেওয়ারই আদেশ বলবৎ রেখেছেন। 

ঘটনার শুরু ২০১১ সালে। ২০১১-১২, ২০১২-১৩, এবং ২০১৩-১৪ কর বছরে, প্রফেসর ইউনূস ৭৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিনটি ট্রাস্টকে। ট্রাস্ট তিনটি হলো, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনূস সেন্টার।

এ অনুদানের ফলে, তার আয়কর পরের কর বছরে ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।এ ধরনের অস্বাভাবিক হ্রাস জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। নিরীক্ষার পর এনবিআর উপহার কর আইনে এসব উপহারের বিপরীতে ১৫ কোটি টাকা কর ধার্য করে। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকা জমা দিয়ে, কর থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। 

ড. ইউনূসের আইনজীবীর দাবি, যেহেতু মি. ইউনূস মৃত্যুচিন্তা ও নিকট আত্মীয়দের কল্যাণের কথা ভেবে ওই টাকা দান করেছেন, ফলে তিনি দানকর আইন অনুযায়ী কর অব্যাহতি পাবেন।

তবে এনবিআর-এর দাবি, দানকর আইন অনুযায়ী দান যদি পুত্র, কন্যা, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী, আপন ভাই অথবা আপন বোনকে করা হয় তবে করদাতা কর অব্যাহতি পাবেন।

কিন্তু ড. ইউনূস দান করেছেন ট্রাস্টে। এর মধ্যে ইউনূস সেন্টারের তিনজন ট্রাস্টির মধ্যে একজন ট্রাস্টি দাতা ড. ইউনূস নিজেই। আবার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট ও ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্টের ট্রাস্টিরা করদাতার নিকট আত্মীয় নন। ফলে এ ক্ষেত্রে তিনি কর অব্যাহতি পাবেন না। 

কিন্তু ট্রাস্টের অর্থের কর না দেয়ার মতলব থেকেই এমন কাজ করেছিলেন ড. ইউনূস- এমনটাই বলছে রাজস্ব বিভাগ ও আইনি যুক্তি। এটর্নি জেনারেল এডভোকেট আমিন উদ্দীন জানান, ‘দানকরের সংজ্ঞায় কোনভাবেই এটা আসবে না।’

এই ট্রাস্টগুলির গঠনতন্ত্রও বেশ চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করে। ট্রাস্টগুলোর এমন বিধান রয়েছে যার জন্য প্রফেসর ইউনুস ও তার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে ট্রাস্টের অর্থেই। ট্রাস্টের সমাজসেবা দলিলের চুক্তির নয় নাম্বারে বলা হয়েছে,

To maintain the settlor, his wife Prof. Afrozi Yunus, his daughters Monica Yunus and Deena Afroz Yunus as hereinafter provided.

অর্থাৎ, এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক আফরোজি ইউনূস, দুই কন্যা মনিকা ইউনূস, দীনা আফরোজ ইউনূস ও তার পোষ্যদের রক্ষার জন্য। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, আয়কর নথিতে ট্রাস্টের দাতা যেমন মুহম্মদ ইউনূস গ্রহীতাও তিনি। নিজের পরিবারের ব্যয়ের টাকাও এ ট্রাস্ট থেকেই নিয়েছেন বলে নথিতে দেখা যায়। উৎসব আপ্যায়নের জন্য ৪৭ লাখ, টেলিফোন বিল হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার বিল নথিতে উল্লেখ আছে। 

কিন্তু ট্রাস্টে দান করলে সেখান থেকে আবার বাসার খরচ বা অন্যান্য খরচ তিনি নিতে পারেন না। তাই সমাজসেবার নামে এ ট্রাস্টকে কর ফাঁকির আয়োজন বলছেন এটর্নি জেনারেল এডভোকেট আমিন উদ্দীন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়