শিরোনাম
◈ বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত ◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০৭ রাত
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদালতের রায়ের আগেই গোপনে দেশ ছাড়লেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ থাকসিন সিনাওয়াত্রা গোপনে দেশ ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ব্যাংককের ডন মুয়েয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি প্রাইভেট বিমানে তিনি দেশত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছে থাইল্যান্ডের পুলিশ।

থাই পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে প্রাইভেট বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন থাকসিন। তার গন্তব্য কোথায় ছিল, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকলেও তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়াই দেশত্যাগ করেন।

থাকসিনের আইনজীবী উইনইয়াত চাতমন্ত্রি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তার মক্কেলের দেশত্যাগ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। রয়টার্স পিউ থাই পার্টির (থাকসিনের দল) মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

থাইল্যান্ডের জাতীয় রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবার বহু বছর ধরেই প্রভাবশালী। ২০০১ সালে থাকসিন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ২০০৫ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে এক বছরও পূর্ণ করার আগেই, ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে তার সরকার পতিত হয়। এরপর তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান।

থাকসিন বিদেশে থাকলেও থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে তার প্রভাব অব্যাহত থাকে। তার পরিবারের অন্তত ছয়জন সদস্য এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে তার কন্যা পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে চলতি বছরের আগস্টে আদালতের আদেশে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

২০০৬ সালে দেশত্যাগের পর থাকসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়। তবে কন্যা পায়েতংতার্নের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। সেই সুযোগে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

কিন্তু পায়েতংতার্ন পদত্যাগের পর থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আলোচিত এই ভোটের দিনই থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিনও নির্ধারিত ছিল। এর আগের দিনই, সব গোপন রেখে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি।

থাইল্যান্ডে চলমান রাজনৈতিক টানাপড়েন ও থাকসিনের আকস্মিক দেশত্যাগ নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে আদালতের রায় ঘোষণার ঠিক আগের দিনই তার দেশ ছাড়ার ঘটনা অনেককে বিস্মিত করেছে। যদিও এখনো নিশ্চিত নয় তিনি কোন দেশে গেছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে। তথ্যসূত্র: রয়টার্স

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়