যশোরে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সিআইডি পুলিশের চার সদস্য। তাঁদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নামের এক কনস্টেবলকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের রাজারহাট মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এতে তুষার নামের এক ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
সিআইডি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসআই হাবিব, এসআই তরিকুল ইসলাম, এএসআই মো. জাহিদ হোসেন এবং কনস্টেবল শহিদুল ইসলামকে নিয়ে গঠিত একটি দল রাজারহাট এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় তাঁরা ওই এলাকার মাসুদ রানার ছেলে তুষারকে কাশ্মীরি বিরিয়ানি হাউসের ভেতরে নিয়ে যান। তাঁরা সেখানে তাঁকে তল্লাশি করেন। একপর্যায়ে তাঁর কাছে ২০টি ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে জানায় সিআইডি। তখন তুষার সিআইডি সদস্যদের ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন সিআইডি সদস্যদের ওপর হামলা চালান। পরে যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
রাজারহাট এলাকার চা-দোকানি মোতাহার হোসেন বলেন, ‘কাশ্মীরি বিরিয়ানি হাউসের সামনে থেকে মারামারি করতে করতে কয়েকজন আমার দোকানের সামনে চলে আসেন। সিআইডি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা ছিলেন সাদাপোশাকে। তাঁরা যখন তুষারকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে তখন বলছিল, আমার টাকা-মোবাইল নিয়ে চলে যাচ্ছে ভুয়া সিআইডি পরিচয়ে। আমাকে বাঁচাও। তখন কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে তাঁদের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় সিআইডির দুজন পালিয়ে যান। আর ঘটনাস্থলে দুজনকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পরে পুলিশ এলে ঘটনাস্থল স্বাভাবিক হয়।’
সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার মোসা. সিদ্দিকা বেগম বলেন, তুষারের বিরুদ্ধে মামলা আছে।
হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কাজে বাধা ও মাদক কারবারের অভিযোগে তুষারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে যশোর কোতোয়ালি পুলিশ কাজ করছে।