মঞ্জুরে খোদা টরিক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছেই। পরিস্থিতি ভয়াবহ কল্পনার চেয়েও। ১৯৩৯ সালে এমনি আরেক প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে তুরস্কে মারা পরেছিল প্রায় ৩০ হাজার। মানবিক বিপর্যয় যেখানেই হোক, যেভাবেই হোক তা মানবতার ক্ষয় ও পরাজয়।
শোকাহত ও সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কী করতে পারি? এ বিপর্যয়ে যারা বেঁচে থাকবেন আশা করি তারা একদিন শোক কাটিয়ে উঠবেন। প্রার্থনা করি এমন বিপর্যয় যেন আর কোথাও না হয়। কিন্তু লৌকিক প্রার্থনায় কাজ হবে না। প্রকৃতিকে ঠকাতে ঠকাতে, শোষণ করতে করতে, নিংড়ে নিতে নিতে আমরা ফোকলা করে ফেলেছি। সে এখন বৈরী ও প্রতিশোধ পরায়ন হবেই। বিশ্বকে আমরা মৃত্যুকূপ, গ্যাস চেম্বার বানিয়ে ফেলেছি।
প্রকৃতির বিপর্যয় আমরা ঠেকাতে পারবো না ঠিকই। তবে ক্ষতি-ভয়াবহতা কিছু কমিয়ে আনতে পারি। পারছি না, কারণ জলবায়ুর চোরাবালি রাজনীতিতে প্রকৃতি আটকে আছে। ফলে বিপর্যয় বাড়ছে। মানুষ অসহায় দুর্বিনীত বহুজাতিক কোম্পানির কাছে। পরিবেশ সম্মেলন হবে, লক্ষ্য নির্ধারণ হবে, প্রকৃতি ও জলবায়ুকে বসে আনার। কিন্তু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তা শাপ-লুডু খেলার মত চলতে থাকবে। আমদের বিবেক, বুদ্ধি, সহনশীলতা যুদ্ধ ও রক্তক্ষয় থামাতে পারেনি, এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।
রাষ্ট্রনায়ক ও কর্পোরেট কর্তারা বড় বড় কথা বলেবেন, সমবেদনা জানাবেন। কিন্তু এ ক্রোধ, শোক না কাটতেই আসবে পরবর্তি বিপর্যয়ের সংবাদ। বাড়তে থাকবে অবহেলা জনিত খুন। তা আর কতদিন, কত যুগ? লেখক ও গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :