বাতেন মোহাম্মদ: আমি এই ফুটবল উম্মাদনা সমর্থন করি। এটা অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতি ও নানা সংকটে আমাদের অর্থনীতিতে একধরনের স্থবিরতা চলে আসছিলো। বিশ^কাপের কারণে মানুষ প্রিয় দলের সমর্থন করার হেতু স্পেন্ডিং বাড়াচ্ছে তাতে অর্থনীতিতে মানি মোবিলিটি বাড়ছে। তাই এই উম্মাদনা নানা জনে নানাভাবে দেখলেও আমি এই ফুটবল ফিস্টকে পজিটিভভাবে দেখি। আমাদের জার্সি ও পতাকার বাজার মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের হাতে। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের হাতে। তাই এই মানিটা ফ্লো হচ্ছে নীচের দিকে। সাধারণত আমাদের দেশে মানি ফ্লো হয় উপরের দিকে যায়। অর্থাৎ বৃহৎ কোম্পানি ও বড় পুঁজিপতিরাই বেশি লাভবান হয়। এই ক্ষেত্রে ভিন্ন। এছাড়া এলাকাভিত্তিক মুদি দোকানদার, ডেকোরেটর, টি-স্টল, কিয়স্ক, দেশি টিভির বাজার, প্রজেক্টরের বাজার সব মিলিয়ে অর্থনীতির চাপের এই সময়ে এটা দারুণ সুবাতাসের মতো।
এখানে লক্ষণীয় এই বাজার পুরোটাই ইন্টারনাল। সামান্য টিভির কিছু যন্ত্রপাতি ছাড়া বাকিগুলো আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে না, তাই রিজার্ভের উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা কম। এই সময়ে এমন একটা চাঙা ভাগ অর্থনীতির জন্য পজেটিভ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকা সচল করতে উৎসব সব সময় বড় ভূমিকা রাখে। আমি তাই এই ফুটবল উৎসবের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় একটা পজেটিভ ইভেন্ট হিসাবেই দেখি। তবে, অর্থনীতির ছাত্র ও গবেষকরা এটা নিয়ে সিরিয়াস রিসার্চ করতে পারে। আসলেই বিশ^কাপ উৎসবের বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাস্তবে প্রভাব কি এটা নিয়ে। ফেসবুক থেকে