শিরোনাম
◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ ◈ আগস্টে বাংলাদেশে সফর‌ নি‌য়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ তিন ইস্যু নিয়ে থমকে আছে ভোটের সিদ্ধান্ত ◈ অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ‌খেল‌বে বাংলাদেশ এ’ দল

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:২৩ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাঝরাতে একযোগে, ‘রাজাকার’ ধ্বনি উচ্চারিত হলো সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় এই দেশটার জন্ম দিয়েছিলো 

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: আদালত রায় দিয়েছে, নির্বাহী আদেশে কোটা বাতিল করা যাবে না। সব কোটাই বহাল থাকবে। তবে সরকার চাইলে, কোটার হার কমাতে বা বাড়াতে পারে। এখানে রাষ্ট্র আপিল করেছে। আপিল গ্রহণ করা হবে কী হবে না তা উচ্চতম আদালত এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ধরে নিলাম, আপিল গৃহীত হবে। সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে যেহেতু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সুবিধার কথা বলা আছে সেহেতু আশা করা যায়, রায়ে বড় ব্যবধান হয়তো থাকবে না। কোটাবিরোধীদের একজন নেতা ইতোমধ্যেই বলেছেন, ১০ শতাংশ পর্যন্ত কোটা তারা মানবে। এটি আসলে দর কষাকষির অংক।

সুতরাং এটিই তাদের শেষ কথা নয়। আদালতের রায়ের বাইরে তারাও যায়নি। তবে নারী ও জেলা কোটা তারা চায় না বলে জানিয়েছে। সংবিধানের ইন্টারপ্রিটেনশনে তাদের এই না চাওয়া টেকার কথা না। সংবিধান অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধাদের জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার চাইলে ব্যক্তিবর্গকে বিশেষ মর্যাদা দিতে পারে। এটি সরকারের রাজনৈতিক এখতিয়ার। পাঁচটি বিসিএস পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দশ শতাংশ কোটাও পূরণ করতে পারে না। এখন আদালত যেহেতু কোটা সংরক্ষণের কথা বলেনি সেহেতু কোটা পূরণ না হলে তা তথাকথিত মেধা কোটা থেকে পূরণ করা যাবে।

অতীতেও সেই নজির আছে। এসব বিসিএস পর্যালোচনায় আরও দেখা যাচ্ছে, অতীতের তুলনায় নারী কর্মী নিয়োগ কমেছে এবং প্রায় ৩০ শতাংশের মতো জেলা থেকে কোনো নিয়োগ হয়নি। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী একেবারেই হারিয়ে গেছে। সেটার একটা পলিটিক্যাল আউটকামও আমরা দেখছি। পাহাড়ে সশস্ত্র সংঘাত কোটা তুলে দেবার সরাসরি ফল তা বলার মতো বোকা আমি না। কিন্তু সুযোগ কমে এলে মানুষের বঞ্চনাবোধকে প্রবল করে তোলা সহজ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার চ্যানেল হতে পারেন তাদের শিক্ষকরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আছেন পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনে। সরকারের মন্ত্রী তাদের সঙ্গে বসবেন কথা দিয়ে আর বসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থা ভালো নেই।

পদার্থবিজ্ঞানী আরশাদ মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। সলিমুল্লাহ খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি দেয়নি। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাল কি এ-থেকেই স্পষ্ট। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গ করেও যদি নিজেদের রাজাকার নামে ডাকে তাতেও তাদের মূল্যবোধ ও জীবনবোধের ঘাটতি ঢাকা পড়ে না। পরিস্থিতি সহজ হওয়ার পথে যেতে পারতো। জটিল হলো। মাঝরাতে একযোগে রাজাকার ধ্বনি উচ্চারিত হলো সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেই বিশ্ববিদ্যালয় এই দেশটার জন্ম দিয়েছিল। এই হতাশা কোথায় রাখি। 
 লেখক: সাংবাদিক। ১৫-৭-২৪। যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/মধুর.ধযসবফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়