শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে সেভেন সিস্টার্স ও পাকিস্তান নিয়ে কেন চিন্তিত ভারত? ◈ ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের এএসআইসহ ৬ জন ◈ কবরস্থানে দুই বালতি ভর্তি ২০ তাজা বোমা উদ্ধার! ◈ সোমবার আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব : হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যসহ যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ◈ মাস্ক পরা অবস্থাতেই চুম্বন, হংকংয়ে বস ও এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নারীর যৌন নির্যাতনের মামলা ◈ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে বিপুল পরিমাণে চিনি ◈ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূতের সঙ্গে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ ◈ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ভারত, কানাডার সঙ্গে বন্ধুত্বে খড়া, বিভিন্ন দেশে চলছে ইন্ডিয়া আউট আন্দোলন ◈ শুভেন্দু অধিকারী হয় বোকা, নয় মূর্খ, যিনি হঠাৎ করে বাংলাদেশ নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন!(ভিডিও)

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:৫৬ সকাল
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাটরা কী? বড় কাটরা, ছোট কাটরা এবং হারিয়ে যাওয়া আরও কিছু কাটরার গল্প 

ঋষণা রূপকথা : কাটরা কী? বড় কাটরা, ছোট কাটরা এবং হারিয়ে যাওয়া আরও কিছু কাটরার গল্প। কাটরা সম্ভবত আরবি ‘কাতার’ বা ‘কাতারা’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ খিলানযুক্ত ভবন। আরবি ও ফারসি সাহিত্যে এর উল্লেখ ‘ক্যারাভানসরাই’ বা ‘সরাইখানা’ নামে। কাটরা পথচারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মিত, যা একটি অঙ্গনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। অঙ্গনের চারদিকে থাকে বারান্দা, পরে কক্ষসমূহ। কক্ষসমূহে অতিথিরা রাত্রি যাপন করেন, তাদের বাহনের পশু ও ভ্রমণ সরঞ্জামাদি রাখা হতো অঙ্গনে। অতীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারের ফলে সব দেশের বাণিজ্যপথের পাশেই নির্দিষ্ট দূরত্বে কাটরা নির্মিত হতো। বাণিজ্যের সুবিধার্থে বাংলাদেশেও কাটরা নির্মাণ হতো। এর উদাহরণ ঢাকায় মুঘল আমলে নির্মিত বড় কাটরা ও ছোট কাটরা। 
বড় কাটরা: ঢাকার চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত বড় কাটরায় ফারসি ভাষায় দুটি শিলালিপি আছে। একটিতে উৎকীর্ণ আছে, এ ভবন আবুল কাসেম কর্তৃক ১০৫৩ হিজরিতে নির্মিত। অন্যটিতে দেখা যায়, ১০৫৫ হিজরিতে শাহ সুজা স্থাপত্যটি কাটরা হিসেবে ব্যবহারের জন্য মীর আবুল কাসেমকে দিয়েছিলেন এই শর্তে যে, এ ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ কাটরায় অবস্থানের যোগ্য কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো ভাড়া নিবে না। কাটরার ব্যয় নির্বাহের জন্য ২২টি দোকান ওয়কফ করে দেওয়া হয়। বড় কাটরা চতুর্ভুজাকৃতির এক অঙ্গনকে বেষ্টন করে নির্মিত হয়েছিল। এর প্রতি পার্শ্বে ২২টি কক্ষ ছিল। বর্তমানে এটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। দক্ষিণাংশের কাঠামো পুরোপুরি বর্তমান থাকলেও উত্তরাংশ সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। পূর্ব ও পশ্চিমাংশের সামান্য কিছু রয়েছে। বড় কাটরার সংস্কারে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার আদি ভবনের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটেছে। 
ছোট কাটরা: বড় কাটরা হতে ১৮৩ মি. পূর্বে বুড়িগঙ্গা তীরে অবস্থিত যা নওয়াব শায়েস্তা খান ১৬৬৪ সালে নির্মাণ করেন। বড় কাটরা যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল, প্রায় সে উদ্দেশ্যেই এটি নির্মিত হয়েছিল। পরিকল্পনা ও নির্মাণ কৌশলে ছোট কাটরা অবিকল বড় কাটরার মতো কিন্তু আকারে ছোট। ছোট কাটরার খিলানসমূহ তিন ভাঁজবিশিষ্ট। মিনারগুলো মজবুত ও অন্য মুঘল মিনারের তুলনায় মোটা। প্রাসাদের সিঁড়ি ও মেঝে কাঠের তৈরী। সিঁড়িগুলো বেশ চওড়া। প্রবেশপথ দুটি এখনও চিত্তাকর্ষক। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ বেষ্টিত চারপাশের ভবনাদি ও আদি ভবন বহুবার নবায়ন, পুনর্নিমাণ ও সংস্কার হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত পরিবর্তন, নবায়ন এবং প্রাঙ্গণে দোকান,পসরার ঘেষাঘেষিতে এর পূর্ব আকৃতি ও সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়ে গেছে। 
অন্যান্য কাটরা: এ দুটি ছাড়াও ঢাকায় আরও অনেকগুলি কাটরার নাম পাওয়া যায়, যেমন- মুকিম কাটরা, মায়া কাটরা, বকশীবাজার কাটরা, মুঘলটুলি কাটরা, নওয়াব কাটরা, নাজির কাটরা, রহমতগঞ্জ কাটরা, ক্যারাভান ও বাদামতলী কাটরা প্রভৃতি। নাম পাওয়া গেলেও এদের সম্পর্কে খুব একটা জানা যায়নি। তবে, মুকিম কাটরা সম্পর্কে কিছুটা তথ্য পাওয়া যায়। মুকিম কাটরার কিছু অংশ মৌলভী বাজার ও বাকিটা চকবাজারে অবস্থিত। এলাকাটিকে এখনও মুকিম কাটরা বলা হয়। এলাকাটি মির্জা মুকিমের নাম অনুসারে হয়েছিল। যিনি ১৬৬২ সালে মীরজুমলার শাসনকালে এটি তৈরি করেন। এ কাটরার অস্তিত্ব এখন আর নেই। ছবি: ১৮৭০ সালে তোলা বড় কাটরার ছবি। ১৯.৪.২৪। ফেসবুক থেকে 

 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়