শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০১:৪০ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৭:৫২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কানাডার পার্লামেন্টে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিল পাস

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

মাজহারুল ইসলাম: ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে পালন করতে একটি আইন করেছে কানাডার পার্লামেন্ট। বাংলাদেশ ছাড়া কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিল। এর মাধ্যমে কানাডা এখন থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করবে। এটা বাংলাদেশি-কানাডিয়ানসহ সারাবিশ্বের মাতৃভাষাপ্রেমিদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কানাডার হাউজ অব কমন্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যাক্ট এস-২১৪’ পাস করা হয়। এ সময় বিলটির উত্থাপনকারী কেন হার্ডি এমপি, বিলটির আরেকজন প্রবক্তা সিনেটর মবিনা এস জাফর, বিরোধী সিপিসি নেতা এবং কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার হাউজ অব কমন্সে উপস্থিত ছিলেন। এসময় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এবং পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস গৃহীত হওয়ায় মরহুম রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলামের অবদান বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি অংশ নিয়ে পাকিস্তান নামে যে রাষ্ট্রটি গঠিত হয়েছিল, তাতে শুরুতেই নিপীড়ণের শিকার হয় বাঙালিরা। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ফুঁসে ওঠে বাঙালি। এরপর ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বুকের রক্ত ঢেলে ছিনিয়ে আনে মায়ের ভাষার অধিকার। এর দুই বছর পর ১৯৫৪ সালের ৭ মে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি কার্যকর হতে লাগে আরো দুই বছর। 

ভ্যাঙ্কুভারের মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামের প্রাথমিক আবেদন এবং পরে সরকারের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়