শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকা ছাড়াই রেকর্ড খতিয়ানের এই ৫টি ভুল সংশোধন সম্ভব, মামলা করতে হবে না

দলিল ও রেকর্ড খতিয়ানের পাঁচটি গুরুতর ভুল সংশোধনের জন্য আর মামলা করতে হবে না। ভূমি মালিকরা এখন থেকে সহজ প্রক্রিয়ায়, বিনা খরচে এসব ভুল সংশোধন করতে পারবেন। সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসিল্যান্ড (এসএলআর) ও জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আগে দলিল বা খতিয়ানে দাগ নম্বর, নামের বানান, জমির শ্রেণী বা অংশে ভুল ধরা পড়লে ভূমি মালিককে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা করতে হতো। এতে বছরের পর বছর সময় ও বিপুল অর্থ ব্যয় হতো। কিন্তু এখন এসব ভুল সরাসরি এসিল্যান্ড কার্যালয়ে কিংবা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশোধন করা যাবে।

কোন ভুলগুলো সংশোধন করা যাবে

১. নামের বানানে ভুল – মালিক, পিতা-মাতা বা স্বামী-স্ত্রীর নামের বানান ভুল হলে।
২. ঠিকানা সংশোধন – ঠিকানা বা অন্যান্য করণিক ভুল হলে।
৩. অংশের ঘরে ভুল – অংশ কম-বেশি বসে গেলে (যেমন ৫০ এর জায়গায় ৫০০ লেখা হয়েছে)।
৪. জমির শ্রেণীতে ভুল – ধানিজমির জায়গায় বাস্তুভিটা লেখা ইত্যাদি।
৫. দাগ নম্বরে ভুল – মূল দাগের পরিবর্তে অন্য দাগ বসে যাওয়া।

এসব ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সঠিক প্রমাণপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড কার্যালয়ে আবেদন করলেই হবে।

অতীতে দুর্ভোগ

দলিলে মৌলিক ভুল ধরা পড়লে বা বিক্রেতা মারা গেলে মালিকদের মামলা ছাড়া উপায় থাকত না। এতে শুধু সময় ও টাকা খরচ হতো না, বরং অনেক ক্ষেত্রে জীবদ্দশায়ও সমস্যার সমাধান হতো না।

সরকারের উদ্যোগ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট-এর ১৪৩ ও ১৪৪ ধারার ক্ষমতা অনুসারে মাঠ পর্যায়ের এসিল্যান্ডদের এসব ভুল সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে লাখো ভূমি মালিক মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন।

ভূমি মালিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ভুল ধরা পড়লে মামলা না করে সরাসরি এসিল্যান্ড কার্যালয়ে গিয়ে প্রমাণপত্রসহ আবেদন করতে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়