শিরোনাম
◈ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সতর্কবার্তা: বাংলাদেশ-নেপালে তরুণদের আন্দোলনে সরকার পতনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি ◈ কাতারের পর এবার ইয়েমেনে হামলা চালাল ইসরায়েল ◈ কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত ◈ ৯/১১ হামলার ২৪ বছর: নিহতদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রে শোক ও শ্রদ্ধা ◈ ৩৩ বছর পর ভোট জাকসুতে—ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ প্রার্থী ◈ নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনায় আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ◈ চিঠি লিখে ভারতকে একহাত নিলেন নেপালের পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী ◈ লাইফ সাপোর্টে ফরিদা পারভীন ◈ এ‌শিয়া কাপ, ৪ ওভার ৩ বল খে‌লে আরব আ‌মিরাত‌কে হারা‌লো ভারত ◈ আগুন জ্বলে উঠতে পারে ভারতেও, শিবসেনা নেতার সতর্কতা

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৩৫ দুপুর
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অপরাধের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক সার্বিক চিত্র 

মনিরুল ইসলাম  : ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অপরাধের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক সার্বিক চিত্র দেওয়া হলো:

হত্যার প্রবণতা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শেষ ১৩ মাসে খুনের হার বেশি বলে মনে হলেও এর আংশিক কারণ হলো শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত কমপক্ষে ১,১৩০টি খুনের ঘটনায় গণ-অভ্যুত্থানের পরে অর্থাৎ ৬ আগস্ট, ২০২৪ সালের পর থেকে এই বছরের আগস্টের মধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। অনেক হত্যা মামলা পূর্বে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দায়ের করা যায়নি, পুলিশকেও মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেই এসব তথ্য সামনে এসেছে এবং মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।

অন্যান্য অপরাধ কি বাড়ছে?

বিগত বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে অনেক ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হলেও এর আংশিক হচ্ছে এখন মানুষ রাজনৈতিক প্রভাবশালী অপরাধীদের বিরুদ্ধেও সহজে মামলা করতে পারছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা আগে ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত, বিশেষ করে যদি অপরাধীরা তাদের দলের কর্মী হয়। শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও পুলিশ অনিচ্ছুক ছিল।

ডেটাসেট থেকে উদাহরণ:

* ডাকাতির ঘটনা ১,৪০৫ (২০২৪) থেকে কমে ১,৩১৪ (২০২৫) হয়েছে, তবে ২০২৩-এর প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এখনও বেশি। এর কারণ হলো, সমস্ত ডাকাতির ঘটনা এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই থানায় রেকর্ড করা হচ্ছে। থানাগুলোর মধ্যে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে নাগরিকরা ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই অপরাধের অভিযোগ করতে পারছেন।

* আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ এর অধীনে অপরাধের সংখ্যা ১,২২৬ (২০২৪) থেকে কমে ৬৫১ (২০২৫) হয়েছে।

* দাঙ্গার ঘটনাও ১২৫ (২০২৪) থেকে কমে ৫৯ (২০২৫) হয়েছে।

* চুরির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে: ৮,৬৫২ (২০২৪) → ৬,৩৫৪ (২০২৫)।

এ থেকে বোঝা যায়, রিপোর্ট করা সহিংস অপরাধ (যেমন খুন) বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ অপরাধ নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে, যা উন্নত আইন প্রয়োগ এবং সঠিকভাবে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া উভয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে খুন এবং কিছু অপরাধের বৃদ্ধি কেবল সহিংসতার বৃদ্ধি নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা মামলাগুলো অবশেষে দায়ের হওয়ার প্রতিফলন। গত ১৩ মাসে রেকর্ড করা মামলার মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে সংঘটিত হত্যার ঘটনাও হয়েছে।

অপরাধমূলক জবাবদিহিতা উন্নত হয়েছে:

রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই এখন ভুক্তভোগীরা রিপোর্ট করতে পারছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে কোনো নাগরিককে নিরুৎসাহিত করেন না বা বাধা দেন না।

কয়েকটি ক্যাটাগরিতে, বিশেষ করে চুরির ঘটনা প্রকৃতপক্ষে কমেছে যা আইনশৃঙ্খলার উন্নতির পাশাপাশি স্বাধীনভাবে মামলা দায়ের করার পরিবেশকে ইঙ্গিত করছে।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়