সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী যারা কফিল (স্পন্সর) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পলাতক কর্মীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় তারা ‘হুরুব’ হিসেবে বিবেচিত হন। বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সম্প্রতি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘হুরুব’।
‘হুরুব’ অর্থ পলাতক। হুরুব দেওয়া কর্মী সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হন। দালালদের প্রতারণার কারণে সৌদি প্রবাসীদের নিয়োগকর্তারা হুরুব বলে চিহ্নিত করছেন। এতে প্রায়শই দেশটির আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে দেশে ফিরছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
গত ২৮ এপ্রিল সৌদি আরব থেকে আউটপাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী। যাদের মধ্যে অনেকেরই এই হুরুব সমস্যা ছিল।
খোঁজ জানা গেছে, সৌদি যেতে একজন প্রবাসী বাংলাদেশির গড়ে সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। এত টাকা দিয়েও দালালদের প্রতারণার কারণে প্রবাসীরা দেশটিতে গিয়েও অভিবাসন খরচ তুলতে পারেন না। ফলে বাধ্য হয়ে কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি।
সৌদি আইন অনুযায়ী, কোনো কর্মী ছুটি না নিয়ে কোথাও চলে গেলে নিয়োগকর্তা তাকে হুরুব বলে রিপোর্ট করেন। নিয়োগকর্তা এ রিপোর্ট ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে করতে পারেন, আবার অনলাইনেও হুরুব ঘোষণা করতে পারেন। হুরুব ঘোষণা করার ২০ দিনের মধ্যে যদি ওই কর্মী কাজে ফিরে আসেন, তাহলে নিয়োগকর্তা হুরুব উঠিয়ে নিতে পারেন। আর ২০ দিনের মধ্যে না ফিরলে ওই কর্মী সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হন এবং জোরপূর্বক দেশে ফিরতে বাধ্য হন।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, বৈধ ইকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তারা মূলত ফিরতে বাধ্য হয়েছেন নিয়োগকর্তা কর্তৃক হুরুব ঘোষিত হওয়ার কারণে। উৎস: নিউজ২৪