শিরোনাম
◈ ১১ ডিআইজিসহ ৭৬ ওএসডি পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে পাঠানো হলো যে কারণে ◈ বক্তব্যের মাঝেই শুরু হলো হট্টগোল, রেগে গেলেন আইন উপদেষ্টা! (ভিডিও) ◈ টিকটক প্রেমের পরিণতি: স্ত্রীকে নিতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা ◈ পুলিশকে হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার, ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন জামায়াত নেতা ◈ ৪৫ তলার সমান উচ্চতা থেকে লাফ দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলেন ড. জাকির নায়েক (ভিডিও) ◈ টাকা চু‌রির অ‌ভি‌যোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন বি‌সি‌বির সা‌বেক সভাপ‌তি ফারুক আহ‌মেদ ◈ আমার প্রথম অগ্রাধিকার জাতীয় দল, গ্লোবাল টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি নয়: সোহান ◈ গোয়েন্দা নজরদারিতে কক্সবাজারে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা: হোটেল পরিবর্তন ◈ ২৩ বছরের সংগ্রাম সত্ত্বেও জিয়াউর রহমানের নাম নেই: মির্জা আব্বাস ◈ সচিবালয় ও যমুনা এলাকায় সভা-সমাবেশ-গণজমায়েত নিষিদ্ধ

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২৫, ০৫:০৫ বিকাল
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হজের ৫ দিন তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব, পড়ার নিয়ম ও উচ্চারণ

আজ ৯ জিলহজ। ফজর থেকেই ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ উচ্চারণ হবে সারাবিশ্বের সকল মুসলিম নর-নারীর মুখে। তাকবিরে তাশরিক একটি ওয়াজিব আমল।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত সময়কে তাশরিকের দিন বলে। এসব দিনে মুসল্লিরা ফরজ নামাজ শেষে যে তাকবির পড়েন তাকে তাকবিরে তাশরিক বলে। এ তাকবিরে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর মহত্ত্ব, বড়োত্ব ও একক সত্তার কথা বলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন।

মহান আল্লাহর প্রিয় বাক্যগুলোর একটি হলো- আল্লাহু আকবার। তাই তাকে খুশি করতে হলে শুধু নামাজের সময় নয় সারাদিনই তাকবির বেশি বেশি পড়া উচিত।

তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে-

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ। অর্থ : আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।

তাকবিরে তাশরিকসংক্রান্ত মাসায়েল

১. নারীরা এই তাকবিরে তাশরিক নিচু স্বরে আদায় করবেন। উচ্চস্বরে নয়। (হাশিয়া তাহতাবি ১/৩৫৭)

২. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদিরা ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা তাকবির বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)

৩. প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালামের পর পরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থি কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২/১৮০)

৪. কোনো সময় সবাই বা কেউ কেউ তাকবির বলতে ভুলে গেলে এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই মনে পড়লে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গোনাহগার হবেন। (মাবসুত সারাখসি ২/৪৫)

৫. তাশরিকের দিনগুলোতে কোনো ফরজ নামাজ কাজা হয়ে গেলে ওই দিনগুলোর মধ্যে তার কাজা আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাজা পরবর্তীতে অন্য সময় আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। একই সঙ্গে ৯ জিলহজের আগের কোনো নামাজ তাশরিকের নির্ধারিত দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৬৪)

৬. কোনো ব্যক্তির যদি জামায়াতে নামাজ আদায়কালে প্রথম দিকে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যায়, তাহলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর ওই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়