কোরবানি ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের ইবাদত। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেবেন- কেউ উট, কেউ গরু আর কেউ ছাগল। অনেকে সামর্থ্যের অভাবে একা কোরবানি দিতে পারেন না; প্রয়োজন হয় শরিকে কোরবানি দেয়ার। আর শরিকে কোরবানি দিলে মানতে হয় কিছু নিয়ম।
শরিকানায় কোরবানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যা সাত হতে পারে। এর থেকে বেশি মানুষ একসঙ্গে কোরবানি করার বিধান নেই। আর যারা একসঙ্গে মিলে শরিকানায় কোরবানি দেবেন, তাদের সবার অর্থ-সম্পদ স্বচ্ছ হতে হবে। এবং গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করা যাবে না। এজন্য শরিকানায় কোরবানির আগে এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
শরিকানায় কোরবানি করলে সাধারণত সবাই সমান টাকা দেন। তবে কখনও যদি কোনো শরিকের সম্পদের পরিমাণ কম থাকে এবং অন্য শরিকদের কেউ তার পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে দেয়, তাহলে কোরবানি জায়েজ হবে কি না?
ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের সমাধান হলো-- সাতজনে মিলে কোরবানি করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারও অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারও আধা ভাগ, কারও দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানিই জায়েজ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭)
ইসলামি শরিয়তে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারে। এসব পশু দিয়ে একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে না। আর উট, গরু ও মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের বেশি শরিক হলে কারও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭০,কাযিখান ৩/৩৪৯)
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন,
আমরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হজ করেছিলাম, তখন আমরা সাতজন করে একটি উট এবং একটি গরুতে শরিক হয়ে কোরবানি করেছি। (মুসলিম: ১৩১৮)