শিরোনাম
◈ হিন্দুরা বদলে গেছে: ভারতের ঘুমন্ত রাজ্যটি যেভাবে মুসলিমবিরোধী হয়ে উঠল ◈ নরেন্দ্র মোদিকে বোমা মেরে হত্যার হুমকি ◈ এক ম্যাচ আগেই আয়ারল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো বাংলাদেশ নারী দল ◈ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে : শফিকুল আলম ◈ জনগণের কাঙ্খিত আইনানুগ সেবা দিতে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে : সিটিটিসি প্রধান ◈ ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন  মাইনুল হাসান ◈ বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনায় আলোচনার আহ্বান মমতার, শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়ে দিলেন ব্যাখ্যা ◈ যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের জন্য রাজপথে থাকবো : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ◈ বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে ◈ গোল্ডেন ধান চাষ করে সফল হয়েছেন মধুপুরের কৃষক ডা: শফিকুল ইসলাম

প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:২০ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পবিত্র কোরআনে সুরা মাউনে মানুষের যে দুটি দলের কথা বলা হয়েছে

পবিত্র কোরআনের ১০৭ তম সুরার নাম আল মাউন। এই সুরার ৭টি আয়াত। এই সুরায় আল্লাহর হক নামাজ ও বান্দার হকের জাকাত, সদকা, পরোপকারের ব্যাপারে সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

এ সুরায় মানুষদের দুটি দলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম দল যারা কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে না। এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করে। তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করে। গরিব-মিসকিনদেরকে নিজেরা খাওয়ায় না, অন্যদেরও খাওয়ানোর প্রতি উৎসাহিত করে না। অর্থাৎ আল্লাহ ও বান্দা কারও সঙ্গেই তাদের আচরণ সঠিক নয়।

 দ্বিতীয় দল হচ্ছে মুনাফেক। এখানে তাদের তিনটি নিকৃষ্ট দোষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত তারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তাদের উদাসীনতা আবার দুভাবে হতে পারে। হয়তো তারা নামাজ আদায় করে না বা নামাজ পড়ে কিন্তু নামাজ পড়ার সময় নামাজের কোনো বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখে না। দ্বিতীয়ত তারা লোক-দেখানোর জন্য ইবাদত করে থাকে। তৃতীয়ত, তারা এতটাই কৃপণ যে, প্রয়োজনীয় ছোটখাটো খরচ করতেও তারা অস্বীকার করে।
 
 হজরত মুহাম্মদ (সা.) তখন মক্কায় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন না। তার মুখ থেকে তৎকালীন নেতাদের এই সব দুর্বলতা ও অবিচারগুলো প্রকাশ করে দিয়ে সমালোচনা করার শিক্ষা আল্লাহ দিয়েছেন। সব যুগের সব অহংকারী, লোক দেখানো ধার্মিক ও মানুষকে যথাযথ সম্মান ও অধিকার না দেয়া মানুষদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করায় এই সুরা।
 
প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে ‘তুমি কি দেখেছ তাকে যে ধর্ম (বিচার)-কে অস্বীকার করে’,প্রশ্ন করে আল্লাহ নিজেই উত্তর দিয়েছেন। এখানে ‘ইউকাযযিবু’ মানে যে জেনে বুঝে অস্বীকার করার পাশাপাশি এটাকে মিথ্যা হিসাবে প্রচার করে ।
 
দ্বিতীয় আয়াতে আছে ‘যে এতিমকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়’ সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও করুণা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি এতিমের প্রতি তার খারাপ ব্যবহারের স্বভাবটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ইয়াদু অর্থ গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার কথা বলা হয়।
 
তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে উৎসাহিত করে না?’ তোয়ামিল মিসকিন মানে দরিদ্রের খাবার বোঝানো হয়েছে।
 
সুরার চতুর্থ  ও পঞ্চম আয়াতে ‘সুতরাং দুর্ভোগ সেসব নামাজ আদায়কারীর, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন, ’নামাজের ব্যাপারে গাফিলতির বিষয়টি আল্লাহ বলেছেন। ‘ফি সলাতিহিম সাহুন’ অর্থাৎ নামাজের মধ্যে উদাসীন। নামাজের মধ্যে কারও কারও বিভিন্ন চিন্তা ঢুকে যায়, অন্যদিকে মন চলে যায়।
 
ষষ্ঠ আয়াতে ‘যারা তা পড়ে লোকদেখানোর জন্য’ বলা হয়েছে। লোক দেখানো কাজ করে তাদের কথা বলা হয়েছে। কাউকে দেখানোর জন্য কোনো কাজ করলে সে কাজটি যে করে তা তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।

 সুরার শেষ আয়াতে ‘আর যারা অপরকে (সংসারের ছোটখাটো) জিনিস দিয়ে সাহায্য করতে চায় না ।’ মানুষের প্রতি অন্যায় করার বিষয়টি উঠে এসেছে। উৎস: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়