শিরোনাম
◈ তিন দাবি নিয়ে জাবির প্রো-ভিসির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক ◈ ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপের আহ্বান তারেক রহমানের ◈ এবার নেপালের মতো গণ-অভ্যুত্থানের ডাক পশ্চিমবঙ্গে! ◈ বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ২৪ ঘণ্টায় আবেদন দেড় মিলিয়ন ◈ বাংলাদেশে ৩০০ শতাংশ বেড়েছে চীনের বিনিয়োগ : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ নির্বাচনের তফসিলের আগেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ফখরুলের ◈ দিল্লি-মুম্বাই হাইকোর্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি ◈ রাজনীতি থেকে নেপালে ৬ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অবসরে পাঠানোর উদ্যোগ ◈ চিতা তার দাগ বদলায় না, জামায়াতের উত্থানে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ◈ দিনের আলোয় বাংলাদেশ থেকে পাচার ২৩৪ বিলিয়ন ডলার: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যা নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি কাতারের! (ভিডিও)

ভৌগোলিকভাবে ছোট হলেও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কাতার একটি বড় নাম। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ, হুথি আক্রমণ এবং ইরান-সৌদি আরবের প্রতিযোগিতার মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক সংকটে কাতারের ভূমিকা বারবার আলোচনায় এসেছে। গাজা সংকট নিরসনে দোহা একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।

কাতারের সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় দিক হলো এর বিমান বাহিনী। দেশটির হাতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান, যেমন: দাসো রাফাল, ইউরোফাইটার টাইফুন এবং মার্কিন এফ-১৫ কিউএ। এসব বিমান আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণে সমানভাবে কার্যকর। এছাড়াও, দ্রুত সেনা ও সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য তাদের বহরে রয়েছে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার, সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো পরিবহন বিমান।

পারস্য উপসাগরে অবস্থিত হওয়ায় কাতারের জন্য সমুদ্রপথের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির নৌবাহিনীতে ইতালীয় ফ্রেগেম-শ্রেণীর ফ্রিগেট, উন্নত টহল জাহাজ এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলোর প্রধান লক্ষ্য হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানির রুটগুলোকে সুরক্ষিত রাখা।

কাতারের স্থলবাহিনী তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত। তাদের বহরে রয়েছে লেপার্ড ২এ৭ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, পিজেড এইচ ২০০০ হাউইজার এবং সাজোঁয়া যান। কাতারের সামরিক কৌশল মূলত প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়।

যুদ্ধের সময় কাতারের অন্যতম বড় ভরসা তার শক্তিশালী অর্থনীতি। কাতার এনার্জি, কিউ টার্মিনালস, বারজান হোল্ডিংস এবং দেশের বিশাল লজিস্টিক নেটওয়ার্ক সেনা সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, কাতার সাইবার নিরাপত্তা, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা এবং অ্যারোস্পেস খাতেও বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করা কাতার একটি পূর্ণ রাজতন্ত্র, যেখানে আমির সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আছেন। দোহায় অবস্থিত আল উদেইদ এয়ারবেস মার্কিন সেনাদের অন্যতম বড় ঘাঁটি। এই সামরিক উপস্থিতির কারণে কাতার শুধু নিজের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না, বরং ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধসহ আঞ্চলিক সংকট নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

যদিও কাতারের সামরিক সক্ষমতা আধুনিক, তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি তুলনামূলকভাবে এটি ছোট আকারের। ইসরায়েলের হাতে শত শত এফ-৩৫ স্টেলথ জেট, আয়রন ডোম এবং অ্যারো থ্রি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতাও আছে।

অন্যদিকে, কাতারের শক্তি হলো তার দ্রুত মোতায়নযোগ্য বিমান বাহিনী, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে জোট। সরাসরি সংঘাতে ইসরায়েল কাতারের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হলেও, কাতারের প্রভাব আসে এর কূটনৈতিক মধ্যস্থতা, আঞ্চলিক জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ এবং মার্কিন ঘাঁটির উপস্থিতির কারণে, যা ইসরায়েলও উপেক্ষা করতে পারে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়