শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫৮ বিকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুল

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ডানপন্থী ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুল। আজ শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে জয় পান নির্মাণ খাতের এই বড় ব্যবসায়ী।

অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চূড়ান্ত দাপ্তরিক ফলাফলে দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৪৯২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ৩১১ জনের ভোট পান ভুমজয়থাই পার্টির এই নেতা। রক্ষণশীল বিরোধী দলটি পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দল।

পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার চালাদ খামচুয়াং বলেন, ‘পার্লামেন্ট অনুতিন চার্নভিরাকুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।’

৫৮ বছর বয়সী অনুতিন আগে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত ২০২২ সালে গাঁজা আইন সিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য।

পর্যটননির্ভর দেশ থাইল্যান্ডে কোভিড-১৯ মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অনুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দোষারোপ করেছিলেন এবং পরে সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।

২০২৩ সালের নির্বাচনের পর থেকে শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের ফিউ থাই পার্টি থাইল্যান্ডের শীর্ষ পদ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে আদালতের রায়ে এ পরিবারের উত্তরসূরি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করা হয়।

অনুতিন একসময় পেতংতার্নের জোটকে সমর্থন করেছিলেন; কিন্তু এ গ্রীষ্মে প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধের সময় তাঁর আচরণে আপত্তি প্রকাশ করে ওই সমর্থন ত্যাগ করেন তিনি। অনুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমাত্র সাধারণ শত্রু হলো যিনি দেশের শত্রু। আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।’

থাইল্যান্ডের সংবিধানিক আদালত গত ২৯ আগস্ট এক সিদ্ধান্তে জানিয়েছিলেন, পেতংতার্নের আচরণ মন্ত্রিপরিষদ নীতির লঙ্ঘন। আদালতের আদেশে মাত্র এক বছরের শাসনের পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

এ অবস্থায় একাই এগিয়ে গিয়ে অনুতিন সর্ববৃহৎ বিরোধী দল পিপলস পার্টির ১৪৩ আসনের সমর্থন পেতে সক্ষম হয়েছেন। তবে তাঁকে শর্ত দেওয়া হয়েছে, পার্লামেন্টকে চার মাসের মধ্যে ভেঙে নতুন নির্বাচন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়