ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে সজাগ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাবন্দি বিরোধী নেতা ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথা উল্লেখ করে তিনি একথা বলেন।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে এবং সে বিষয়ে দেশ ও জাতিকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাবের প্রশংসাও করেছেন ইমরান খান।
বুধবার (১৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বোন আলেমা খান। তিনি বলেছেন, তার কারাবন্দি ভাই ইমরান খানের সাথে সাক্ষাতের সময় ভারতের সাথে পাকিস্তানের সংঘাতের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে।
আলেমা বলেন, “তিনি (ইমরান খান) আমাদের বলেছেন— যুদ্ধের সময় এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে— দেশ ও জাতির সতর্ক থাকা উচিত কারণ (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবেন।”
এদিকে ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমরান বলেছেন— ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাব কেবল জাতির মনোবলই বৃদ্ধি করেনি বরং কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মনোবলও বাড়িয়েছে।
তবে আকরাম জোর দিয়ে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান সতর্ক করে দিয়েছেন যে— মোদির প্রতারণামূলক এবং অবিশ্বস্ত স্বভাবের কারণে ভারতের আগ্রাসন এবং সংঘাতের সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তির জন্য পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি জানান, ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, “ভারতের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও বারবার আগ্রাসনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ মোদির আচরণ বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান দেশটির ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যদি ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হতে পারে, তাহলে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধা কোথায়?”
গোহর আলী বলেন, “আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা করা।”
তিনি আরও বলেন, পিটিআই সবসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে গঠনমূলক সংলাপে অংশ নিতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, “সরকার যদি একটি সর্বদলীয় সম্মেলন ডাকে, তাহলে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি সেখানে অংশগ্রহণ নিয়ে ভাববে।”