সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। সব পাথর পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একইভাবে সিলেট নগরী মুখে আসা দুই শতাধিক পাথর ভর্তি ট্রাক আটক করে যৌথবাহিনী। এরমধ্যে ৭০টি ট্রাক নগরীর প্রবেশ মুখ বড়শালা বাইপাস মোড় থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার করা পাথরগুলো নদীতে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, যাতে পর্যটনকেন্দ্রের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় থাকে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চুরি হওয়া সকল পাথর আগের জায়গায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বুধবার রাতে জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদের নেতৃত্বে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো ও লুটের পাথর সাদাপাথরে পুনঃস্থাপনে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো— জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ এ পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়শালা বাইপাস রোডে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ট্রাকগুলো তল্লাশি করে কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেন। ইতোমধ্যে ৭০টি ট্রাক সাদা পাথর অভিমুখে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযানে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
সিলেট নগর পুলিশের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন।
এদিকে পাথর বোঝাই ট্রাক আটকানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা। সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন সমকালকে বলেন, আমরা এভাবে ট্রাক আটকানোর কোন কারণ দেখছি না। বিষয়টা নিয়ে আমরা আজ রাতে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছি। ওই বৈঠক থেকেই আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।