শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বার্ড ফ্লু কীভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে- ধারণা দিলেন বিজ্ঞানীরা

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।। বার্ড ফ্লু, যা কিনা এইচফাইভএনওয়ান নামেই বেশি পরিচিত - তা এক সময় পাখি থেকে মানুষের শরীরে বিপজ্জনকভাবে সংক্রমিত হয়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে বহু বছর ধরে সতর্ক করে আসছেন বিজ্ঞানীরা।

ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি ধরন- এভিয়ান ফ্লু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে স্থায়ীভাবে গেড়ে বসেছে। ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো চীনে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে কখনো কখনো মানুষকেও সংক্রমিত করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – ডব্লিউএইচও'র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ থেকে ২০২৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত ২৫টি দেশে মোট ৯৯০ জনের এইচফাইভএনওয়ান সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে, যার মধ্যে ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুহার হিসেবে এই সংখ্যা ৪৮ শতাংশ।

কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই এই ভাইরাসে ১৮ কোটির বেশি পাখি আক্রান্ত হয়েছে। ছড়িয়েছে ১৮টি অঙ্গরাজ্যের এক হাজারের বেশি দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারে, আর সংক্রমিত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন মানুষ, যাদের বেশিরভাগই খামারের কর্মী।

এর ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সাধারণত পাখিদের সংক্রমণ করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের নাগপুরের একটি বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের তিনটি বাঘ ও একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে।

মানুষের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো তীব্র ফ্লুর মতো—অনেক বেশি জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা এবং কখনো কখনো চোখে প্রদাহ (কনজাংকটিভাইটিস)।

আবার কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। এখন পর্যন্ত মানুষের জন্যে কম ঝুঁকি থাকলেও, ভাইরাসটির দিকে কর্তৃপক্ষ সতর্ক নজর রাখছে যে এটি এমনভাবে পরিবর্তন হচ্ছে কি না যা সহজে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই আশঙ্কাই ভারতীয় গবেষক ফিলিপ চেরিয়ান ও অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌতম মেননকে একটি নতুন পিয়ার-রিভিউড মডেলিং গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

এতে তারা বোঝার চেষ্টা করেছেন যে কীভাবে এইচফাইভএনওয়ান'র প্রাদুর্ভাব মানুষের মধ্যে ঘটতে পারে, একইসাথে কোন ধরনের প্রাথমিক হস্তক্ষেপ ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা থামানো যেতে পারে।

আরেকভাবে বলা যায়, বিএমসি পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এই মডেলটি বাস্তব বিশ্বের তথ্য ও কম্পিউটার পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখিয়েছে–– একটি প্রাদুর্ভাব বাস্তবে কীভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে।

"মানুষের মধ্যে এইচফাইভএনওয়ান মহামারির হুমকি আছে। তবে আমরা আশা করতে পারি, উন্নত নজরদারি ও আরও দ্রুতগতির জনস্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে এটি আগেভাগেই ঠেকানো যাবে," বিবিসিকে বলেন অধ্যাপক মেনন।

গবেষকদের মতে, বার্ড ফ্লু মহামারি নীরবেই শুরু হবে—সংক্রমিত পাখি থেকে একজনের শরীরে ভাইরাসটি ছড়াবে। আক্রান্ত ব্যক্তি সম্ভবত হবেন কোনো কৃষক, বাজারকর্মী অথবা হাঁস-মুরগি সামলানোর সঙ্গে যুক্ত কেউ।

মূল বিপদটি প্রথম সংক্রমণে নয়, বরং এরপর কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ যদি এটি মানুষ থেকে মানুষে ধারাবাহিকভাবে সংক্রমিত হতে থাকে তার ওপর।

বাস্তবতায়, সাধারণত যেকোনো প্রাদুর্ভাব সীমিত ও বিশৃঙ্খল তথ্য দিয়ে শুরু হয়। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে গবেষকরা ভারাতসিম নামের একটি ওপেন-সোর্স সিমুলেশন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছেন। এটি মূলত কোভিড-১৯ মডেলিংয়ের জন্য তৈরি করা হলেও, অন্যান্য রোগ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কার্যকর।

সিমুলেশন হলো এমন একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক পরিবেশ, যা বাস্তব বিশ্বের কোনো একটি প্রক্রিয়ার ভার্চুয়াল মডেল তৈরি করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কোনো বিষয়ে বাস্তব প্রয়োগের আগে তা ডিজিটালভাবে পরীক্ষা, বিশ্লেষণ ও উন্নত করতে পারেন।

গবেষকরা বলছেন, নীতিনির্ধারকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো কোনো প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে ব্যবস্থা নেওয়ার সময়সীমা কতটা কম হতে পারে।

গবেষণাপত্রে ধারণা করা হয়েছে, সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় দুই থেকে ১০টির বেশি হলেই রোগটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সংস্পর্শের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ব্যাপক।

প্রাথমিক সংস্পর্শ বলতে বোঝায়, যারা সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি ও ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করেছেন—যেমন পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী বা ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা।

মাধ্যমিক সংস্পর্শে থাকেন তারা যারা সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি দেখা না করলেও প্রাথমিক সংস্পর্শে থাকা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে ছিলেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র দুটি সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যদি প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে কোয়ারেন্টিনে রাখা যায়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

তবে ১০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া মানে ইতোমধ্যেই তা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক হস্তক্ষেপ ছাড়া রোগটির গতিপথ কার্যত আলাদা করা যায় না।

গবেষণাটিকে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মেলাতে গবেষকরা ভারতের পোলট্রি শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত তামিলনাড়ুর নামাক্কাল জেলার একটি একক গ্রামের মডেল বেছে নিয়েছেন।

নামাক্কাল জেলায় এক হাজার ৬০০টিরও বেশি পোলট্রি খামার এবং প্রায় সাত কোটি মুরগি রয়েছে; প্রতিদিন এখান থেকে ছয় কোটির বেশি ডিম উৎপাদিত হয়।

গবেষণায় 'সিন্থেটিক কমিউনিটি' ব্যবহার করে ৯ হাজার ৬৬৭ জন বাসিন্দার একটি গ্রাম তৈরি করা হয়, যার মধ্যে ছিল পরিবার, কর্মস্থল ও বাজার এলাকা। বাস্তব জীবনের সংক্রমণের পরিস্থিতি অনুকরণ করতে সেখানে একটি সংক্রমিত পাখি যুক্ত করা হয়।

(সিন্থেটিক কমিউনিটি বলতে বোঝায় এমন একটি কৃত্রিম, কম্পিউটার-নির্মিত জনসংখ্যা, যা বাস্তব জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য ও আচরণ অনুকরণ করে।)

সিমুলেশনে দেখা যায়, ভাইরাসটির সূচনা হয় একটি কর্মস্থল থেকে—মাঝারি আকারের কোনো খামার বা ভেজা বাজারে। প্রথমে এটি সেখানে কর্মরত বা উপস্থিত মানুষদের মধ্যে ছড়ায় (প্রাথমিক সংস্পর্শ), এরপর তাদের সঙ্গে বাড়ি, স্কুল ও অন্যান্য কর্মস্থলের মাধ্যমে যোগাযোগে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে (মাধ্যমিক সংস্পর্শ)। বাড়ি, স্কুল ও কর্মস্থল মিলিয়ে একটি স্থির নেটওয়ার্ক গঠিত হয়।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সংক্রমণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গবেষকরা সংক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো নির্ধারণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে বেসিক রিপ্রোডাকটিভ নাম্বার বা আরও (R0)— যা গড়ে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি কতজনের মধ্যে ভাইরাস ছড়ান, তা নির্দেশ করে।

বাস্তবে মানুষের মধ্যে এখনো মহামারি না হওয়ায়, গবেষকরা সংক্রমণের সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরনের গতির পরিসর ধরে মডেল তৈরি করেন।

এরপর তারা পরীক্ষা করেন পাখি নিধন, ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন এবং লক্ষ্যভিত্তিক টিকাদানের মতো বিভিন্ন হস্তক্ষেপ কার্যকর হলে কী ঘটে।

ফলাফল ছিল স্পষ্ট।

সংক্রমিত পাখি নিধন করা কার্যকর—কিন্তু তা অবশ্যই মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার আগে হতে হবে।

গবেষকরা বলছেন, একবার যদি পাখি থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটে যায়, তখন সময়ই হয়ে ওঠে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সংক্রমিত ব্যক্তিদের আলাদা রাখা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারান্টিনে রাখা গেলে মাধ্যমিক পর্যায়েই ভাইরাসের বিস্তার থামানো সম্ভব।

কিন্তু তৃতীয় স্তরের সংক্রমণ অর্থাৎ বন্ধুর বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তির পরিচিত মানুষদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা দিলে, কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসব ব্যবস্থার মধ্যে লকডাউনের মতো পদক্ষেপও অন্তর্ভুক্ত।

লক্ষ্যভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচি ভাইরাসটি কত মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারবে তা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও, তাৎক্ষণিক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত।

সিমুলেশনগুলো একটি জটিল সমঝোতার দিকও তুলে ধরেছে।

কোয়ারেন্টাইন খুব তাড়াতাড়ি চালু করা হলে পরিবারগুলো দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকে—এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাদের সঙ্গে বসবাস করেন তাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।

আবার কোয়ারেন্টাইন দেরিতে চালু করলে তা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কার্যত কোনো ভূমিকা রাখে না।

গবেষকরা বলছেন, এই পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

মডেলটি একটি কৃত্রিম গ্রামকে ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিবারের আকার, কর্মস্থল এবং দৈনন্দিন চলাচলের ধরন স্থির রাখা হয়েছে। এতে অভিবাসী পাখি বা পোলট্রি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একযোগে ছড়িয়ে পড়া প্রাদুর্ভাবের হিসাব নেই।

মানুষ যখন জানতে পারে পাখি মারা যাচ্ছে, তখন আচরণগত পরিবর্তন—যেমন মাস্ক পরা—এর প্রভাবও এতে ধরা হয়নি।

অ্যাটলান্টাভিত্তিক এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট সিমা লাকদাওয়ালা আরেকটি সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন, এই সিমুলেশন মডেলটি ধরে নিয়েছে 'ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ অত্যন্ত কার্যকর'।

তিনি বলেন, "সংক্রমণ জটিল এবং প্রতিটি ভাইরাসের ধরনের কার্যকারিতা একরকম নয়"।

পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, বিজ্ঞানীরা এখন বুঝতে শুরু করেছেন যে মৌসুমি ফ্লুতে আক্রান্ত সবাই সমানভাবে ভাইরাস ছড়ান না।

তার মতে, নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, "ফ্লু-পজিটিভ ব্যক্তিদের একটি অংশই আসলে বাতাসে সংক্রামক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায়"।

এটি কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে দেখা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যদিও ফ্লুর ক্ষেত্রে তা অনেক কম চিহ্নিত—একটি ফাঁক, যা মানবসমাজে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ধরনকে বড়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

যদি এইচএনফাইভওয়ান মানবসমাজে সফলভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কী ঘটবে?

ড. লাকদাওয়ালার ধারণা, এটি "বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাবে, যা সম্ভবত ২০০৯ সালের (সোয়াইন ফ্লু) মহামারির মতো হবে, কোভিড-১৯-এর মতো নয়"।

তিনি বলেন, "কারণ আমরা ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির জন্য বেশি প্রস্তুত। আমাদের কাছে অনুমোদিত অ্যান্টিভাইরাল রয়েছে, যা এইচএনফাইভওয়ান এর বিভিন্ন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রাথমিক প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে এবং মজুতকৃত এইচফাইভ ভ্যাকসিন রয়েছে, যা স্বল্প সময়ে প্রয়োগ করা সম্ভব"।

তবে আত্মতুষ্টি ভুল হবে।

ড. লাকদাওয়ালা বলেন, যদি এইচএনফাইভওয়ান মানবদেহে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে এটি ভাইরাসের বিদ্যমান ধরনের সঙ্গে পুনর্গঠন বা মিশ্রিত হতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যে এর প্রভাব বাড়িয়ে তুলবে। এমন রূপান্তর মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার ধরন পাল্টে দিতে পারে, সৃষ্টি করতে পারে "অগোছালো ও অনিশ্চিত মৌসুমি মহামারি"।

ভারতীয় মডেল নির্মাতারা বলছেন, এই সিমুলেশনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে চালানো যায় এবং নতুন তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে হালনাগাদ করা সম্ভব।

আরও পরিমার্জন—যেমন হালনাগাদ রিপোর্টিং, উপসর্গবিহীন রোগীর হিসাব—যোগ হলে, প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য এটি অমূল্য হতে পারে। সংক্রমণ শুরুর আগেই কোন পদক্ষেপগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝার সুযোগ করে দিতে পারে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়