শিরোনাম
◈ আইপিএল ২০২৬-এর নিলাম হ‌বে আবুধা‌বি‌তে  ◈ আজ পল্টনে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ আট দলের গণসমাবেশ ◈ রাজধানীতে মধ্যরাতে ৩ বাসে আগুন, পুড়েছে প্রাইভেটকারও ◈ পঞ্চগড়ে শুরু শীতের আমেজ, তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ◈ বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত ◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০৮ রাত
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চুমু থামিয়ে দিতে পারে হৃদস্পন্দন, নতুন আতঙ্ক ‌‘কিসিং বাগস’

একটা চুমু হয়তো কারও হৃদয় চুরি করতে পারে—কিন্তু এ চুমুই থামিয়ে দিতে পারে হৃদস্পন্দন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন এক প্রাণঘাতী পরজীবী সংক্রমণ নিয়ে, যা ছড়ায় তথাকথিত “কিসিং বাগ” নামের পোকামাকড়ের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে এই পোকা যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি অঙ্গরাজ্যে পাওয়া গেছে।

কমপক্ষে আটজন আমেরিকান স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়ে চাগাস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সিডিসি (CDC) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO) যুক্তরাষ্ট্রেও এ রোগকে স্থানীয় বা এনডেমিক রোগ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।

চাগাস রোগ বিশেষজ্ঞ ও মহামারিবিদ নরমান বিটি বলেন, “এই রোগ বহু দশক ধরে লাতিন আমেরিকায় অবহেলিত অবস্থায় আছে। কিন্তু এখন এটা যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়ছে।”

কিসিং বাগ কী?
এগুলো ছোট কালো-বাদামি রঙের পোকা, যাদের বৈজ্ঞানিক নাম ট্রায়াটোমিন (Triatomine)। তারা মানুষ, পোষা প্রাণী ও বন্যপ্রাণীর রক্ত খায়। মুখ ও চোখের চারপাশে কামড়াতে পছন্দ করায় এদের নাম হয়েছে কিসিং বাগ।

কিসিং বাগ মূলত মেক্সিকো ও মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার আরও ২১টি দেশে সাধারণভাবে পাওয়া যায়। সেখানে এগুলোকে স্থানীয় (এনডেমিক) পোকা ধরা হয়, অর্থাৎ সবসময়ই থাকে।

এই পোকা থেকে ছড়ায় এক প্রাণঘাতী পরজীবী সংক্রমণ, যার নাম ট্রাইপানোসোমা ক্রুজি (Trypanosoma cruzi)। যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া কিসিং বাগগুলোর প্রায় ৫৫ শতাংশের শরীরেই এ পরজীবী থাকে।

মানুষ সাধারণত আক্রান্ত হয় যখন কিসিং বাগ কামড়ানোর পর ক্ষতস্থানের পাশে মল ত্যাগ করে।

এছাড়াও, এই পরজীবী অঙ্গ প্রতিস্থাপন, রক্ত সঞ্চালন কিংবা গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে যেতে পারে।বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ এই পরজীবী বহন করছে, আর প্রতিবছর ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে চাগাস রোগে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত, বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন। আগে বেশিরভাগ সংক্রমণ দক্ষিণাঞ্চলে দেখা গেলেও, এখন ধীরে ধীরে উত্তর দিকেও ছড়িয়ে পড়ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়