শিরোনাম
◈ গভীর রাতে সীমান্তে ৭৫০ জনকে পুশইন চেষ্টা, বিজিবি ও জনতার প্রতিরোধে পিছু হটলো বিএসএফ ◈ আর্জেন্টিনা দলে ফিরলেন মেসি, খেলবেন চিলি ও কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে  ◈ রা‌শিয়ার `সম্রাট" বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, দাম ৩৫ মি‌লিয়ন ডলার ◈ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি আসলে কতটা? ◈ নয়া কৌশলে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ! ◈ ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, চারদিনে উত্তপ্ত সীমান্ত সংঘর্ষ ◈ এবার মমতাজের তৃতীয় স্বামী যে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন! ◈ মিশা সওদাগরকে ঘিরে ভাইরাল মারধরের ভিডিও ভুয়া, হাঁটুর অস্ত্রোপচারের জন্যই হাসপাতালে ◈ কাতারের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমান 'উপহার': ট্রাম্পের বিপক্ষে যাচ্ছেন তার সমর্থকরাও ◈ দুই ম্যাচ আ‌গেই সৌ‌দি প্রো লি‌গে শিরোপা জিতলো আল ই‌তিহাদ

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৮:১২ রাত
আপডেট : ১৪ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খেজুর খাওয়া কেন জরুরি, কারা খাবেন না?

খেজুর হলো ডেট পাম গাছের ফল; যা বিশ্বের অনেক উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খেজুরের চাষ করা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খেজুরের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে।

পশ্চিমা দেশে প্রায় সব খেজুরই শুকানো অবস্থায় বিক্রি হয়। আপনি খেজুরের শুকনো বা তাজা হওয়া সহজেই বুঝতে পারবেন। যদি খেজুরের চামড়া কোঁচকানো হয়, তবে এটি শুকানো খেজুর, আর যদি চামড়া মসৃণ হয়, তবে এটি তাজা খেজুর।

বাজারে যে তাজা খেজুরগুলো পাওয়া যায় তার আকার সাধারণত ছোট হয় এবং এর রঙ উজ্জ্বল লাল থেকে উজ্জ্বল হলুদ হতে পারে। এর বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। বেশি জনপ্রিয় প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেডজুল’ এবং ‘ডেগলেট নূর’ খেজুর।

খেজুরের স্বাদ মিষ্টি। এটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। তাছাড়া, খেজুরের বিভিন্ন ব্যবহারও রয়েছে; যা স্বাস্থ্য ও খাবারের জন্য উপকারী।

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার। এটি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।

খেজুরে পাওয়া যায়:
-পটাসিয়াম: হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
-ম্যাগনেসিয়াম: হাড়ের গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
-আয়রন : রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
-ফাইবার : হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ইসলাম ধর্মে খেজুরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রমজান মাসে ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া সুন্নত। এটি দেহে শক্তি জোগায় এবং রোজাদারদের জন্য আদর্শ খাবার।

এছাড়াও, খেজুর বিভিন্ন সংস্কৃতিতে উৎসব ও অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে একজন কিডনি রোগী খেজুর খেতে পারেন কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের মনে। উত্তরটা চলুন জেনে নেওয়া যাক।

একজন কিডনি রোগীকে উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কারণ, একজন কিডনি রোগী দৈনিক ২০০০মিলিগ্রাম/২গ্রাম এর কম পটাশিয়াম গ্রহণ করতে পারবেন। যেহেতু খেজুরে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে তাই একজন কিডনি রোগীর খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

১০০ গ্রাম খেজুরে ৪১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে; যা উচ্চ মাত্রা নির্দেশ করে। যেসব কিডনি রোগীর পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অর্থাৎ হাইপার হয়, তাদের অবশ্যই খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

তবে যে সকল রোগীর পটাশিয়াম কমে যাওয়া অর্থাৎ হাইপো হয়ে যায় তখন কলা অথবা খেজুর খেতে বলা হয়। যাতে পটাশিয়ামের মাত্রা নরমাল হয়।

একজন কিডনি রোগী হিসাবে খেজুর অথবা উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের পটাশিয়াম লেভেল চেক করে নিতে হবে এবং ডাক্তার অথবা পুষ্টিবিদ-এর পরামর্শ নিতে হবে।

পরিশেষে খেজুর প্রকৃতির একটি অনন্য উপহার; যা স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় গুরুত্বের দিক থেকে অপরিহার্য। এর পুষ্টিগুণ এবং বহুমুখী ব্যবহার এটিকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলেছে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে আমরা সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনযাপন করতে পারি। উৎস: সময়টিভি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়