শিরোনাম
◈ প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এনডিএ: কেন, কিভাবে, কতটা যৌক্তিক? ◈ ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল অর্থনীতির অংশীদার হতে চায় বাংলাদেশ: আশিক চৌধুরী ◈ যশোরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে  বিএনপির ৬ নেতা, কর্মীকে বহিঃস্কার ◈ জুয়ার আসর থেকে ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি ও ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১৪ ◈ ৬০০০ রানের মাইলফলকে জো রুট ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের গেজেট থেকে ৮ শহীদের নাম বাদ, তালিকা প্রকাশ ◈ এনসিপির ইশতেহার ঘোষণা, ছাত্রদলের সমাবেশে নির্বাচনমুখী বক্তব্য ◈ ১০ লাখ টাকার বেশি আমানত ও সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক ◈ জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান: এবার ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করল সরকার ◈ কুমিল্লায় ইউপি সদস্যকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৪, ০২:৫৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৪, ১০:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মানেই হৃদস্পন্দন বন্ধ 

শাহীন খন্দকার: [২]কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাক দুই এর মধ্যে পার্থক্য সর্ম্পকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

[৪] বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেকেই এই ঘাতকব্যাধি সর্ম্পকে সচেতন নয়। শুধু তাই নয় তারা জানেন না হার্ট অ্যাটাক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পার্থক্য সর্ম্পকেও। চিকিৎসকরা বলছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর সঙ্গে-সঙ্গে চিকিৎসা শুরু না হলে পরিণতি মৃত্যু। তবে হার্ট অ্যাটাক হলে কিছুটা সময় পাওয়া যায়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সেই সময় দেয় না! 

[৫] হার্ট অ্যাটাক এর রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হলে রোগী অনেক দিন বাঁচতে পারে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন , কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট রোগটি সম্পর্কে জানা থাকলে ও সচেতনতা বাড়ালে কিছুটা হলেও বড় ক্ষতি থেকে রোগীকে রক্ষা করা সম্ভব ।

[৬] পরিচালক বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের অর্থ হৃৎস্পন্দন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ হার্ট কাজ করা একেবারে বন্ধ করে দেয়।এই রোগটি ধীরে-ধীরে হতে পারে বা হঠাৎ করেও হতে পারে। এধরণের রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা শুরু করলে রোগী বেঁচে যেতে পারেন। আর যদি হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে  হয় তাহলে মৃত্যু ও হতে পারে।

[৭] তিনি বলেন আরও হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক ছন্দে কোনো বাধা অ্যারিথমিয়া হতে পারে। করোনারি হার্ট ডিজিজ, জন্মগত হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ,ভালভুলার হার্ট ডিজিজ বা হার্ট বড় হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে ও হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ে।

[৮] এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসসিএ-র উপসর্গগুলো আকস্মিক ও গুরুত্বরভাবে ঘটে এবং হঠাৎ করেই! উল্লেখযোগ্য হৃদসম্পন্দন কমে যাওয়া, বুকে  ব্যথা বা অস্বস্তি, অচেতন হয়ে পড়া ,মাথা ঘুরা বা হালকা মাথাব্যথা,দূর্বলতা ,শ্বাসকষ্ট,বুকে ধরফড়সহ নাকে ঘ্রাণ পাওয়া ইত্যাদি। তবে অধিকাংশ রোগীই এসসি’এ আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে লক্ষণগুলো অনূভব করে থাকে বলে জানান তিনি।

[৯] কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাক- দুটো আলাদা ঘটনা হলেও বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। অনেকেই এই দুটো বিষয় একই ঘটনা ভাবেন এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। দুটো ঘটনাই হার্টের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত এবং দুটোরই পরিণতি মৃত্যু হতে পারে।

[১০] কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের অর্থ- হার্ট সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়া। আর হার্টে যখন রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না, ধমনিতে ব্লকেজ হয়,সেই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। আর হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে অনেক সময়ই চিকিৎসা করার সময় পাওয়া যায় না। তবে হার্ট অ্যাটাক হলে চিকিৎসার মাধ্যমে ধমনিতে ব্লকেজ সরিয়ে দিলে রোগী অনেকদিন সুস্থভাবে বাচঁতে পারেন। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান

এসকে/কে/এইচএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়