ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে টেনে নিচে ফেলে শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলায় পলাতক এক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুরাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী (৩১) পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার কালাইহাতি গ্রামে।
সাভার মডেল থানা–পুলিশ জানায়, রোববার সকাল ছয়টার দিকে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিনসহ পুলিশের একটি দল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ মুরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে তাঁরা আশহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলার আসামি এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইয়ামিন হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি এএসআই মোহাম্মদ আলী পলাতক ছিলেন। আজ (রোববার) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার মুরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল ছিল ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন শহীদ হন। ওই সময় পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে তাঁকে টেনে নিচে ফেলে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন এমআইএসটির ওসমানী হলে। বাসা সাভারের ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায়।