এমদাদুল হক, খাগড়াছড়ি: [২] হরতাল ও অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত। দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটন শূন্য হয়ে আছে জেলার সবকটি পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। ফাঁকা রয়েছে হোটলে-মোটেলগুলো। এতে একদিকে যেমন মৌসুম শুরুতে পর্যটক হারাচ্ছে তেমনি আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে পর্যটক সংশ্লিষ্টদের । তাদের দাবি পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে পর্যটকদের চলাচলে হরতাল অবরোধমুক্ত রাখা। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে সম্মলিতিভাবে উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।
[৩] খাগড়াছড়ি সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে নয়াভিরাম হাজারো দৃশ্য। উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো অসংখ্য পাহাড়, সবুজের সমারোহে মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার বিভিন্ন বিনোদন ও র্পযটন কেন্দ্রে। যার সৌর্ন্দয্য উপভোগ করতে সারাবছরই পর্যটক দের পদচারণায় থাকে এ জেলায়। প্রতি বছর এ সময় খাগড়াছড়ি পর্যটনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকতো। কিন্তু বিএনপি সহ বিভিন্ন দলরে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে আছে জেলার রিচাং র্ঝণা, জেলা পরিষদ পার্ক সহ সবক’টি বিনোদন কেন্দে। চারদিকে এখন সুনসান নিরবতা।
[৪] হরতাল অবরোধের কারণে বেকার সময় পার করছেন বিনোধন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন কারীরা। পর্যটক না আসায় চাকা ঘুরছেনা পরিবহনের, পর্যটক মৌসুমে পর্যটক না থাকায় হতাশ পর্যটকবাহী পরিবহন চালক-শ্রমিকরা। লোকসানের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধে পর্যটক চলাচলে সহায়তা চান তারা।
[৫] খাগড়াছড়ি হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা পর্যটন শিল্পকে হরতাল অবরোধমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন আর্থিক লোকসান গুনছেন পর্যটন শিল্প ব্যবসায়ীরা। কর্মচারিদের বেতন পরশোধ করতে পারছে না অনেক হোটেল মালিকরা । পর্যটন শিল্পের যানবাহন চালক ও মালিকরা ও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
[৬] খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, সমণ্বিত ভাবে জনগণকে সচেতন করতে এগিয়ে আসলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। প্রয়োজনে জেলার বাইরে সমন্বয় করে সার্বিক ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি।
[৭] এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান হয়ে পর্যটন খাতে নতুন রুপ ফিরে পাবে এমনটাই প্রত্যাশা খাগড়াছড়ি বাসীর। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস