শিরোনাম
◈ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর শাহবাগ (ভিডিও) ◈ সব ব্যক্তিশ্রেণির জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক, কিছু শ্রেণি ছাড়ের আওতায় ◈ কালীগঞ্জে আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির শতবর্ষী গাছ উপড়ে পড়ল ভবনের উপর, আহত ১  ◈ জুলাই গণহত্যা: হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রথম সাক্ষ্য দিলেন খোকন চন্দ্র ◈ ‎তিস্তায় ফের পানি বৃদ্ধি, পানি নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হয়েছে ৪৪টি জলকপাট ◈ নিউ জার্সির ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউ ইয়র্ক সিটি ◈ জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ: ভূমি-সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে ৩০ বছরের পরিকল্পনা ◈ পৃথিবীর ইতিহাসের সকল স্বৈরশাসকদের সমিতি হলে নি:সন্দেহে শেখ হাসিনা হবে এর সভাপতি: অ্যাটর্নি জেনারেল (ভিডিও) ◈ রা‌শিয়ায় ভু‌মিক‌ম্পের জে‌রে ৬০০ বছর পরে জেগে উঠলো কামচাটকার আগ্নেয়গিরি!  ◈ জাতিসংঘ বলছে, তাদের প্রতিবেদন কেউ পড়ে না

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বে ২০২৩ সালে ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক বাণিজ্য, ৭৫% পরিণত হয়েছে বর্জ্যে: আঙ্কটাড রিপোর্ট

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী মোট ৪৩ কোটি ৬০ লাখ টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়েছে। এর বড় অংশই ব্যবহারের পর বর্জ্যে পরিণত হয়েছে, যা বাস্তুতন্ত্র, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে উপকূলীয় ও ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোয় এর প্রভাব পড়েছে বেশি।

২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্লাস্টিক বাণিজ্য ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের ৫ শতাংশের সমান। তবে এ বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের প্রায় ৭৫ শতাংশই পরিণত হয়েছে বর্জ্যে। যার বড় অংশ পরিবেশ ও সাগরে মিশে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়েছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের নতুন প্রতিবেদনে। খবর আনাদোলু।

গত তিন দশকে প্লাস্টিক ও রাবারজাত পণ্যের গড় আমদানি শুল্ক ৩৪ থেকে কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে কাগজ, বাঁশ, প্রাকৃতিক তন্তু ও সামুদ্রিক শৈবালের মতো টেকসই পণ্যে এখনো ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ হচ্ছে। এ বৈষম্য পরিবেশবান্ধব পণ্যে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে আঙ্কটাড।

সংস্থাটি জানিয়েছে, প্লাস্টিক দূষণ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হলেও এখন পর্যন্ত প্লাস্টিকের উৎপাদন, নকশা, বাণিজ্য ও নিষ্পত্তি নিয়ে কোনো বৈশ্বিক চুক্তি নেই। বর্তমানে ব্যবহৃত ৯৮ শতাংশ প্লাস্টিকের উপকরণ জীবাশ্ম জ্বালানি।

বিপজ্জনক প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশ পণ্যের মান, লেবেলিং ও নিষেধাজ্ঞার মতো নন-ট্যারিফ (এনটিএম) নীতিমালা চালু করেছে। তবে নিয়মের বৈচিত্র্য ও জটিলতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষুদ্র রফতানিকারকদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে প্লাস্টিকবিহীন প্রাকৃতিক বিকল্প পণ্যের বাণিজ্যের আকার ছিল ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে উচ্চ শুল্ক, বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা ও দুর্বল নীতিগত প্রণোদনার কারণে বিকল্প পণ্য খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটছে না।

এ প্রেক্ষাপটে টেকসই বিকল্প উৎসাহিত করতে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে আঙ্কটাড। এর মধ্যে রয়েছে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ নীতির সংস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য অবকাঠামোয় বিনিয়োগ এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), জলবায়ু সনদ (ইউএনএফসিসিসি), বাসেল কনভেনশনসহ আঞ্চলিক চুক্তির মধ্যে সমন্বিত নীতি প্রণয়ন। বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়