শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২৫, ০১:০৭ রাত
আপডেট : ০৭ মে, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ঢাকায় বিগত ১০০ বছরে ভূমিকম্প না হলেও বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে’

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান বলেন, ঢাকা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। বিগত ১০০ বছরে এখানে ভূমিকম্প না হলেও বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকার ভবনগুলোর মান খুবই খারাপ। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ঢাকার ভবনগুলোকে নিরাপদ করতে হবে। বিল্ডিং কোড এবং অন্যান্য আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভূমিকম্প ও অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলার উপযোগী ভবন নির্মাণ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ভবিষ্যতের ভবনগুলো দুর্যোগসহনশীল উপায়ে নির্মাণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান। সেমিনারে তিনি বলেন, পরিবেশ বান্ধব, নিরাপদ, বাসযোগ্য ও দুর্যোগ সহনশীল ভবন নির্মাণ করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ভবন হতে হবে নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং দুর্যোগসহনশীল। রাজউককে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভবনের নির্মাণ পর্যায়ে তদারকি ও গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য দক্ষ ও আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যার অভাবে অগ্নিকাণ্ড ও বিপর্যয় ঘটে। এজন্য ভবনের মালিক, প্রকৌশলী,  স্থাপতি ও ঠিকাদার সকলের সচেতন হতে হবে।

আদিলুর রহমান জানান, রাজউক ও জাইকা আয়োজিত এ সেমিনারে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শক্তিশালী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা যাবে। যা ভবিষ্যতে আমাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্টেকহোল্ডররা আইন না মানলে, কঠিন আইন করলেও নিরাপদ নগর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। আমাদের সমাজে আইন না মানার সংস্কৃতি রয়েছে। প্রভাবশালীদের মধ্যে এই প্রবণতার হার বেশি। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রাজউকের কর্মকর্তারা অসহায়। অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেন (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাশহর বিভিন্ন প্যারামিটারে এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ শহরকে বাসযোগ্য করতে হলে একটি ছাতার নিচে আনতে হবে। নইলে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে না। কেননা, একেক দপ্তর একেক সংস্থার হাতে থাকায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। রাজউক এখন শহর ও আশপাশের সব এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালা করছে। সময় ও চাহিদার আলোকে পুলিশ না পাওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। 

তিনি বলেন, এতদিন শুনে আসছি আইন করা সহজ। কিন্তু তার বাস্তবায়ন করা কঠিন কাজ। তবে রাজউক আইন তৈরি করতেই কঠি চ্যালেঞ্জ পড়েছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রণয়ন করতে কঠিন চ্যালেঞ্জ পড়েছে। 

তিনি জানান, রাজউক প্ল্যান অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নতুন কোন ভবন নকশার ব্যতয় ঘটিয়ে হতে দেওয়া হবে না।

রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাইকার প্রতিনিধি কবুতা সেমিনারে ইম্প্রুভমেন্ট অব ডিজাইন অ্যান্ড কন্সট্রাকশন কোয়ালিটি ফর রেজিলন্স অব প্রাইভেট বিল্ডিং (ডিসিকিউআর) প্রকল্পের রূপরেখা উপস্থাপন করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান। আর স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মোহা. হারুন অর রশিদ। এছাড়া দিনব্যাপী এ সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, রিহ্যাব, স্থপতি, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়