শিরোনাম
◈ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু: ট্রাভেল পাসের আবেদন তারেক রহমানের ◈ হাসিনার অনুসারীদের জামিন বিতর্কে আইন উপদেষ্টার উদ্বেগ প্রকাশ ◈ প্রার্থীদের অস্ত্রের ঝুঁকি, নিরপেক্ষ প্রশাসন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ইসির ◈ কূটনীতির রীতিনীতি কি উপেক্ষা করছেন প্রণয় ভার্মা ◈ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার হবে সিঙ্গাপুরে, অনুমতি দিয়েছে পরিবার ◈ দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার ◈ দুর্বল প্রতিপ‌ক্ষের বিরু‌দ্ধে  লড়াই ক‌রে জিত‌লো ‌রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ মেয়েকে নিয়ে ২৫ তারিখ সকাল ১১টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান ◈ নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'নসিহতে' বাংলাদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া কেন? ◈ শেষ স্ট্যাটাসে ওসমান হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:০৪ দুপুর
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:০১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ডিপজলের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে তার এক তরুণী ‘ভক্তের’ করা মামলার তদন্ত করে মারধর বা অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগের ‘সত্যতা পায়নি’ পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই সুলতান মাহমুদ গত ২৪ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলেছেন, ‘সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে’ ডিপজল এবং তার সহযোগী মো. ফয়সালের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন গত সোমবার মামলার ধার্য দিনে ওই প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ‘নারাজি’ দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেছেন।

নারাজি দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুলতান বলেন, "তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাইনি। পরবর্তী বিষয় আদালত দেখবেন।"

অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী নয়ন বলেন, "সিআইডি পুলিশ বায়াসড হয়ে আসামিদের বাঁচিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। এ প্রতিবেদনের বিষয়ে আমরা নারাজি দাখিল করব।”

ডিপজল ও ফয়সালের বিরুদ্ধে মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ এনে গত ৮ জুলাই আদালতে এ মামলার আবেদন করেন মোছা. রাশিদা আক্তার নামের এক তরুণী, সেখানে তিনি নিজেকে ডিপজলের ‘ভক্ত’ হিসেবে পরিচয় দেন।
  
আদালত সেদিন মামলার আবেদন গ্রহণ করে সিআইডি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তভার পেয়ে এসআই সুলতান নয় জনের সাক্ষ্য নেন।

‘নিরপেক্ষ’ দুই সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে তিনি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ডিপজলের সঙ্গে দেখা করতে রাশিদা আক্তার গাবতলী পশুর হাটে যান। তাকে হাটের হাসিল ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। তখন রাশিদা তার হাতে থাকা বোতলে ‘কেরোসিন জাতীয় কিছু’ নিজের শরীরে ঢেলে দেন। ঘটনার সময় ডিপজল বা ফয়সাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

তদন্ত কর্মকর্তা লিখেছেন, তদন্তের সময় তিনি জানতে পারেন, রাশিদা আক্তার অভিনেতা ডিপজলের ‘অন্ধ ভক্ত’। বিভিন্ন সময় তিনি ডিপজলের সঙ্গে দেখা করতে এফডিসিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২ জুন তিনি গাবতলী হাটে যান, কারণ তার ধারণা ছিল, ওই হাটের ইজারা ডিপজলের নামেই রয়েছে।

“তখন গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট চলছিল। পশুর হাটের হাসিল ঘরের ভিতরে ডিপজল আছে ভেবে বাদী সেখানে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তখন হাসিল ঘরের ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মরত লোকজন ডিপজল সেখানে নেই জানিয়ে তাকে প্রবেশে বাধা দেন। রাশিদা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাশিদা বলেন, তিনি ডিপজলের ভক্ত। ডিপজলের হাতে এক মুঠো ভাত খাওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে দেখা করার চেষ্টা করে আসছেন।

“হাসিল ঘরের লোকজন বাদীকে জানায়, গাবতলী পশুর হাটের ইজারা ডিপজলের নামে নেই। ডিপজল হাট বুঝিয়ে দেয়ার পর কখনও আসেনি বা তার কোনো লোকজনও হাটে আসে না। হাটের লোকজন রাশিদাকে চলে যেতে অনুরোধ করে।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাদী লোকজনকে বলেন, ডিপজল হাসিল ঘরের অফিসে বসে আছে। তিনি ডিপজলের সাথে দেখা না করে সেখান থেকে যাবেন না। কিন্তু হাসিল ঘরে কর্মরত লোকজন ও উৎসুক জনতা তাকে সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এই কথা শুনে রাশিদা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে উৎসুক জনতা তাকে মানসিক রোগী ভেবে আটক করার চেষ্টা করে।

“এক পর্যায়ে বাদী নিজের কাছে থাকা একটি বোতলে রক্ষিত তরল ক্যামিকেল জাতীয় পদার্থ নিজের গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। অতঃপর দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত পশু ব্যবসায়ী ও উৎসুক জনতা বাদীর কাছে থাকা ম্যাচ বাক্স/গ্যাস লাইট ছিনিয়ে নেয়। লোকজন হাটে ডিপজল বা তার কোনো লোক নেই মর্মে বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে তিনি শান্ত হয়ে গাবতলী পশুর হাট থেকে বের হয়ে যান।”

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন রাত ৯টার দিকে বাদী তার যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরে কাউকে কিছু না বলে শুয়ে পড়েন। রাত ২টার সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তার স্বামী আব্দুল মজিদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন, বাদীর সারা শরীরে ফোসকা পড়ে গেছে।

আব্দুল মজিদ, প্রতিবেশী রুবি এবং মুক্তা আক্তার মিলে পরদিন রাশিদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিতে বলা হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের ওয়ার্ডে বাংলা সিনেমার একটি গানের সাথে তাল মিলিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে তা ইন্টারনেটে আপলোড করেন রাশিদা। চিকিৎসা শেষে ১১ জুন তিনি বাসায় ফেরেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, ঘটনার দিন গাবতলী পশুর হাটের হাসিল ঘরের সামনে থাকা ছাগল ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ, কসাই শাহিন, চা দোকানদার আলমগীরসহ আশেপাশের লোকজনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

“জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছেন, ঘটনার দিন একজন মহিলা ডিপজলের সাথে দেখা করার জন্য হাসিল ঘরের সামনে এসে চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে হাটের উৎসুক জনতা তাকে মানসিক রোগী ভেবে আটকানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে লোকজন তাকে হাট থেকে বের করে দেয়।

“তারা আরও জানায়, ঘটনার দিন ডিপজল বা তার সহকারী ফয়সালসহ তার কোনো লোকজন গরুর হাটে উপস্থিত ছিল না এবং হাটের ইজারাও ডিপজলের নামে ছিল না।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের মোবাইল সিডিআরও পর্যালোচনা করে দেখেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাতে দেখা যায়, ঘটনার দিন ফয়সালের অবস্থান ছিল ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সদর বিজয়নগর এলাকায়। অর্থাৎ, ঘটনার সময় তিনি গাবতলীতে ছিলেন না।

গত ১৫ এপ্রিল ডিপজল গাবতলী পশুর হাট বুঝিয়ে দেয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হাটটি পরিচালনা করেন। এরপর থেকে এরফান ট্রেডার্স গাবতলীর হাটটি পরিচালনা করে আসছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, রাশিদার বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তিনি। তাদের কথায় জানতে পেরেছেন, রাশিদার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল।

“আগের স্বামীর সাথে সংসার করাকালে বিভিন্ন সময় স্বামীকে না জানিয়ে ডিপজলের সাথে দেখা করার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চলে যেত। ডিপজলের অন্ধ ভক্ত হওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় ডিপজলের পোস্টার, ফেস্টুন কেনাসহ ডিপজলের সাথে দেখা করার যাতায়াত খরচ চালানোর জন্য পিতার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়।
  
“তার এরূপ আচরণে অতিষ্ট হয়ে পূর্বের স্বামী বাদীকে তালাক প্রদান করে। পরবর্তীতে বাদী ঢাকায় এসে পিতা মাতার অনুমতি ব্যতিত বর্তমান স্বামীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করছে।”
তবে সিআইডির ওই প্রতিবেদন মানতে রাজি নন মামলার বাদী রাশিদা আক্তার।

তিনি বলেন, "সিআইডি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা মিথ্যা। মেডিকেল সার্টিফিকেট কি মিথ্যা? রিপোর্ট কি মিথ্যা? আমাকে কেন অ্যাসিড মারল? আমি মিথ্যা বলে থাকলে আল্লাহ বিচার করবে। সে যদি এগুলো করে না থাকে তাহলে মসজিদে গিয়ে বলুক এগুলো সে করেনি। আমার হাত-পা বেঁধে পেছন থেকে অ্যাসিড মারে।"

সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি আমাকে হুমকি দিয়েছে। মামলায় আপস করতে বলে। আমি বলেছি, আদালতে মামলা করেছি। আদালদ যা করার করবে। সিআইডি আমাকে ব্যবহার করে আসামিদের কাছ থেকে টাকা খেল। ভুল তদন্ত রিপোর্ট দিল। আমরা গরীব মানুষ, তাই বলে কি ন্যায়বিচার পাব না?”

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী রাশিদা আক্তার অভিনেতা ডিপজলের ‘একজন ভক্ত’। গত কোরবানির ঈদের আগে ২ জুন তিনি গাবতলী হাটে গিয়েছিলেন গরু দেখতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন হাটের মধ্যে অফিসে অভিনেতা ডিপজল আছেন।

“তখন রাশিদা আক্তার সেই অফিসে গিয়ে ডিপজলকে সালাম দিয়ে বলেন যে তিনি অভিনেতার একজন ভক্ত। তার সঙ্গে দেখা করতে চান। তখন ডিপজল তার পিএস ফয়সালকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘এই মহিলা ভিতরে কীভাবে ঢুকল? বের কর এখান থেকে’।

“তখন রাশিদা আক্তার ডিপজলকে বলেন, ‘ভাই আমি আপনার সাথে একটু কথা বলেই চলে যাব, আমাকে বের করে দিতে বলছেন কেন?’ রাশিদার এ কথায় ডিপজল রেগে বলেন, ‘এই তোরা এই মহিলাকে পিটিয়ে এখান থেকে বের কর’। তারপর ডিপজলের হুকুমে ও প্ররোচণায় ফয়সাল এবং তার সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা আরো দুই ব্যক্তি রাশিদার ঘাড় ও হাত ধরে এবং পিঠে হাত দিয়ে জোর জবরদস্তি করে অফিসের ভিতর থেকে টেনে বের করেন। তখন তিনি জামা কাপড় পেচিয়ে মাটিতে পড়ে যান।”
অভিযোগে বলা হয়, “রাশিদা উঠে দাঁড়িয়ে ফয়সালকে বলেন, ‘আমি তো ডিপজল ভাইয়ের সাথে দেখা করে চলেই যেতাম, আপনারা আমার শরীরে হাত দিলেন কেন, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন কেন? তখন ফয়সাল তাকে বলেন, ‘এখান থেকে না গেলে তোর হাত পা ভেঙে পাশের তুরাগ নদীতে ফেলে দেব।’ রাশিদা এরপর প্রতিবাদ করে ফয়সালকে বলেন, ‘ভাঙেন হাত পা, দেখি আপনাদের কত সাহস’।

“রাশিদা এই কথা বলার পর ফয়সাল আশপাশে থাকা অজ্ঞাতনামাদের উদ্দেশে দড়ি আনার কথা বলেন। ফয়সালের কথায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি গরু বাঁধার রশি এনে তার হাতে দেন৷ এরপরে তিনি অন্য ব্যক্তিদের বলে, ‘এই তোরা এই মহিলা কে ধর।’

“এই কথা বলার সাথে সাথেই অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন ব্যক্তি তাকে চেপে ধরেন। এসময় ফয়সাল হাত বেধে ফেলে এবং অন্যান্য ৮/১০ অজ্ঞাতনামা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি লাথি মারতে থাকে। তখন ভিকটিম কান্না করতে করতে করতে বলতে থাকেন, ‘আমাকে ছাড়, আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে বিচার দেব।’ তখন ফয়সাল বলেন, ‘ভিতরে গেলে ডিপজল ভাই তোকে খুন করে ফেলবে।’

“ফয়সাল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘ওকে এইভাবে মেরে মনের জিদ কমবে না।’ এই কথা বলেই তিনি অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তিকে বলেন, ‘ভিতরে একটা ছোট গ্যালন আছে, ওটা নিয়ে আয়।’ অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি অফিসের ভিতর থেকে গ্যালন নিয়ে এসে ফয়সালের হাতে দেন। এসময় ফয়সাল গ্যালনের মুখ খুলে বাদীর শরীরে ঢেলে দেন। রাশিদা যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে বাসে করে তার বাসা যাত্রাবাড়ীতে আসেন।”

আর্জিতে বলা হয়, স্বজনরা দেখে জিজ্ঞাসা করেন এ অবস্থা কীভাবে হয়েছে। বাদী কাউকে কিছু না বলে ঘুমিয়ে যান। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া অনুভব করেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোসকা দেখেন। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

গত ১৩ নভেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ডিপজল ও ফয়সালের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছন রাশিদার স্বামী আব্দুল মজিদ।

আদালত এ অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়