শিরোনাম
◈ ৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ◈ জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ◈ নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ ◈ সাভারে মেয়ের হাতে বাবা খুনের আসল ঘটনা নিয়ে যা জানা গেলো ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:২০ দুপুর
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুবির সহকারী প্রক্টরকে মারতে গেল ২ নেতা

মাহমুদুল হাসান, কুবি: দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের দুই নেতা কর্তৃক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন অমিত দত্ত নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টর। 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত কুবির মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দাস, মাহি হাসনাইন, ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী ইকবাল হাসান ও ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস কক্ষ দখল করেন। এরপর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতাকর্মীদের সাথে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। 

এ দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই পক্ষকে নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষ। আলোচনার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের রুম থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে যান প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে মারতে তেড়ে যান শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।

তখন উপস্থিত প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর কাজী এম আনিছুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকরা উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা অন্য শিক্ষকদের প্রতিও চড়াও হোন। 

এসময় শিক্ষকদের প্রতি চড়াও হয় কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী, একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত আহমেদসহ আরো কয়েকজন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, এখানে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম দ্বায়িত্ব পালনকালে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। দুই পক্ষের উত্তেজনা থামাতে গেলে আমাকে লাঞ্চিত করা হয়।

তবে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমি এরকম কিছুই করি নাই। স্যার আমাদের দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে অনেকেই ধাক্কাধাক্কি ও আওয়াজ করছিলো। স্যার হয়তো ভুল বুঝেছে তাই অভিযোগ করেছে। স্যারের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো।
অভিযুক্ত আরেকজন সালমান চৌধুরী বলেন, এগ্রেসিভ মুডে স্যারের সাথে কথা বলা যাবে না? আমি যদি বলি স্যার আমাদের মারতে আসছেন? সবকিছু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। আর স্যার যদি বলে থাকেন আমরা মারতে গিয়েছি এটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

অভিযুক্ত নেতাদের দিয়ে শিক্ষকের কাছে 'স্যরি' বলাবেন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, সহকারী প্রক্টর হিসেবে যে কোন জায়গাতে ভূমিকা রাখার জন্য উনি ধমক দেয়াটাই স্বাভাবিক। এটা ওনার রাইট ছিল। ছাএরা বুঝতে না পেরে চিৎকার চেচামেচি করছে। মারতে যাওয়া এটা ভিত্তিহীন। তার পরেও যারা স্যারের সাথে উচ্চ বাক্য করছে আমরা ব্যক্তিগতভাবে স্যারের সাথে এদেরকে স্যরি বলার ব্যবস্থা করবো। 

এই বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আজকের ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। আমরা আগামীকাল সব হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে বসবো। তারপর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো। আর অছাত্র কেউ হলে থাকার কোন সুযোগ নেই। যারা হলে থাকবে তাদের প্রত্যেককে ছাত্র এবং এলটেড হতে হবে।

দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনা আমাদের সবার সামনেই ঘটেছে। অনেক ভিডিও রয়েছে। আমরা তথ্য প্রমাণ সব যাচাই করে ঘটনায় কারা কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিব। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়