শিরোনাম
◈ ভারতে মন্দিরের কুপ বিধ্বস্তে মৃতের সংখ্যা ৩৫ ◈ মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও রুটের ৯স্টেশন চালু ◈ রাশিয়ায় শিশুকন্যা যুদ্ধবিরোধী  ছবি আঁকায় বাবার কারাদণ্ড ◈ জলবায়ু ন্যায়বিচার ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত ◈ ১২ জেলা ও ৩৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা চালু  ◈ গণমাধ্যমের কণ্ঠ নিস্তব্ধ করার জন্য চূড়ান্ত দমন চালানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর  ◈ মন্দা ও লুটপাটে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত: জি এম কাদের ◈ আদালতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান ◈ শিক্ষার্থী অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:২৪ বিকাল
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:২৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪ জেলার মধ্যে এসএসসি ফলাফলে পিছিয়ে মৌলভীবাজার

মো.জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার: সিলেট বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে এবার পিছিয়ে রয়েছে মৌলভীবাজার জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

আর পাসের হারের দিকে এগিয়ে আছে সিলেট জেলা।  সিলেট জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন ভয়বহ বন্যার কবলে থাকা সুনামগঞ্জ জেলার পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ এবং হবিগঞ্জের পাসের হার ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অথচ ভয়াবহ বন্যায় বইখাতা হারানো শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা নিয়ে ছিল চিন্তায়।

অবশ্য ফলাফলের হারের দিক থেকে এই জেলা দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ইং, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণে পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। তবে পাসের হার কমলেও গুণগত মানের দিক থেকে ভালো ফলাফল হয়েছে। পরীক্ষায় মাত্র এক জন বহিষ্কার হয়েছিল। এছাড়া এ বছর গণিতে পাসের হার সর্বনিম্ন ৮৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সর্বাধিক ইংরেজিতে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী মানবিকের। অথচ অন্যান্য বোর্ডগুলোতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার্থী বেশি। ফলে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে যথাযথভাবে গাইড করে তুললে বিজ্ঞান ও ব্যবসা শিক্ষা বেছে নিতে পারত শিক্ষার্থীরা।

বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে, মৌলভীবাজারে ২৫ হাজার ৩৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮ হাজার ৬০৯ জন। এই জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১০ হাজার ৪১৫ জন ছেলের মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৫৮৮ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মেয়ে ১৪ হাজার ৯২৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ২১ জন। আর জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৫৬ জনের মধ্যে ছেলে ৭১৭ এবং মেয়ে ৯৩৯ জন। এই জেলায় ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৮৬ এবং মেয়েদের ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

সিলেটে ৪৩ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৬ হাজার ১৩ জন। এই জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮ হাজার ৬৭৮ জন ছেলের মধ্যে পাস করেছে ১৫ হাজার ৬৮৯ জন। পরীক্ষায় ২৪ হাজার ৮০২ জন মেয়ে অংশ নিয়ে পাস করেছে ২০ হাজার ৩২৪ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে ছেলে এক হাজার ৫৪৫ এবং মেয়ে দুই হাজার ১৩ জন। সিলেট জেলায় ছেলেদের পাসের হার ৮৪ ও মেয়েদের ৮১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

হবিগঞ্জে ২৩ হাজার ৮৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৭ হাজার ৭১৭ জন। জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯ হাজার ৭৭৮ জন ছেলের মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৩৫৩ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মেয়ে ১৩ হাজার ৩১১ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ৩৬৪ জন। আর জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত ১ হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে ছেলে ৫৪৫ এবং মেয়ে ৭৯৮ জন। এই জেলাতে শতকরা ছেলেদের ৭৫ দশমিক ২০ এবং মেয়েদের ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ পাস করেছে।

সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৪৭৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮ হাজার ৬০৯ জন। জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১০ হাজার ২১৬ জন ছেলের মধ্যে পাস করেছে ৮০০৫ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মেয়ে ১৩ হাজার ২৬৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ৬০৪ জন। আর জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত  ৯৬৮ জনের মধ্যে ছেলে ৪০১ এবং মেয়ে ৫৬১ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৬ এবং মেয়েদের ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

শিক্ষক ও বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, সিলেট শিক্ষা বোর্ড গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে দেশে দ্বিতীয় সেরা হয়েছিল। এই শিক্ষা বোর্ডের ইতিহাসে এটি সেরা সাফল্যও ছিল। এবার তাদের ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। পাসের হারে অন্য সব শিক্ষা বোর্ডের নিচে তাদের অবস্থান। তবে এবার এই বোর্ডে জিপিএ ৫ গতবারের চেয়ে বেড়েছে। এবারের এই ফল বিপর্যয়ের জন্য বন্যা পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন। তাঁরা বলছেন, দুই দফা দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের এমন ফলাফলকে বিপর্যয় বলা ঠিক হবে না।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়