জিল্লুর রহমান : চট্টগ্রাম নগরের বাদশাহ মিয়া সড়ক অবরোধ করে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে অবস্থান নেন তারা।
পরবর্তীতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।
চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়ে আন্দোলনের ২৮তম দিনেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই দাবি আদায়ে চারুকলার মূল ফটকের বাইরে সড়ক অবরোধ করেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনের ২৮দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি 'চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তর' বিষয়ক কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আল মাশরুল ফাহিম বলেন, ‘আন্দোলনের ২৮ দিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি৷ তিনবার বৈঠক করেও সমাধান দেয়নি তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হবে এমন সিদ্ধান্ত না আশা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তর বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক চবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ক্যাম্পাস স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারি ও আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো ও গ্যাজেটের কপি তাদের দেখিয়েছি। তখন তারাও আমাদের সঙ্গে সম্মত হয়েছিল। আমরা সুপারিশ করেছি, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে সিদ্ধান্ত পাস হয়ে আসতে হবে। তারপর সরকারের সম্মতি নিয়ে চারুকলাকে স্থানান্তর করতে হবে। আমরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব, বিশ্ববিদ্যালয়ও এই প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শ্রেণিকক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ার পর ২২ দাবিতে গত ২ নভেম্বর ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তখন থেকে ক্লাস বর্জন অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে গত ৫ নভেম্বর থেকেই তাদের দাবি রুপ নিয়েছে এক দফায়৷
ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ৫ নভেম্বর উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে তারা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ নিয়ে গত ২৮দিন টানা ক্লাস বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :