গাজীপুরের কাপাসিয়ার বরহর আ. মজিদ মোল্লা বালিকা দাখিল মাদরাসায় জাল সনদের মাধ্যমে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে দুই সহকারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ যাবৎ তাদের বেতন-ভাতা বাবদ নেওয়া টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সরবরাহ করা সনদ, সুপারিশপত্র জাল ও ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় সহকারী শিক্ষক ছালমা খাতুন (ইনডেক্স নম্বর: এম০০৫৩৩৯৩) ও তাহমিনা আক্তারের (ইনডেক্স নম্বর: এম০০৫৪২৪৫) এমপিও বাতিল করা হয়েছে। পরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গঠিত এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের ইনডেক্সও কর্তন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সতর্ক করে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের জাল সনদধারীর আবেদন প্রেরণ করলে তার বিরুদ্ধেও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকদের উত্তোলিত বেতন-ভাতাসহ সম্পূর্ণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে প্রমাণসহ অধিদপ্তরকে অবহিত করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সবশেষে বলা হয়, আইনানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সরকারি কোষাগারে অর্থ ফেরত প্রদানে যে কোনো ধরনের শৈথিল্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবেন।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করতে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা তালিকা তৈরি করে। সেই তালিকা অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাল সনদ ও ভুয়া সুপারিশপত্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের শাস্তিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। উৎস: আরটিভি অনলাইন।