স্পোর্টস ডেস্ক : পানির চেয়ে ফুটবল মাঠ বেশি টানতো তন্ময়কে। প্রিয় ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের কিংবদন্তিকে দেখে ছোট বেলা থেকেই চাইতেন ফুটবলার হতে।
বিকেএসপিতে যখন ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন তখন ফুটবলে ট্রায়াল দিয়েছিলেন। পাশপাশি সাঁতারেও ট্রায়াল দেন বিকেএসপির অনিন্দ্য সুন্দর সুইমিং পুল দেখে।
শেষ পর্যন্ত ফুটবলে সুযোগ হয়নি। সাঁতারে ভর্তি হয়ে যান তন্ময়। ফুটবলার হতে চাওয়া নেত্রকোণার যুবক এবারের ৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে হয়েছেন সেরা সাঁতারু।
১০টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ৯টিতে জেতেন সোনার পদক তন্ময়। ১টিতে গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। আর সেটারই ফল হিসেবে তন্ময় জিতে নিয়েছেন সেরা পুরুষ সাঁতারুর পুরস্কার।
ট্রফি হাতে সুইমিং পুলের পাশে বসে ছবি তুললেন তন্ময়। পাশে বসা ছিল বাবা কামাল উদ্দিন ও মা রুমা বেগম। তন্ময়ের সাঁতারে আসার গল্পটা বেশ মজার। সেটাই বললেন তিনি, “ আমি বিকেএসপিতে ফুটবল ও সাঁতারে ট্রায়াল দিই। কিন্তু ফুটবলার হতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভক্ত। ভেবেছিলাম ফুটবলার হবো। কিন্তু বিকেএসপির সুইমিং পুল দেখে সাঁতারেও ট্রায়াল দিই। শেষ পর্যন্ত ফুটবলে হয়নি। সাঁতারে সুযোগ পেয়ে গেলাম।”
এবারই প্রথম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তন্ময়। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে এজন্য বাড়তি অনুশীলন করেছেন তিনি, “ এবার প্রথম শ্রেষ্ঠ সাঁতারু হয়েছে। এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক শুকরিয়া। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যেন সেরা সাঁতারু হতে পারি। এজন্য ৪ ঘন্টার জায়গা ৬ ঘন্টা অনুশীলন করেছি প্রতিদিন। রেকর্ড করারও লক্ষ্য ছিল। সব কিছুর জন্য বিকেএসপিকে ও চিফ কোচ মনিরুজ্জামান স্যারকে ধন্যবাদ।
তন্ময়ের প্রিয় ইভেন্ট ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইল। যদিও এই ইভেন্টে রেকর্ড হয় নি। তবে সেরা টাইমিং করেছেন বলেই খুশি।
ফ্রান্সের অলিম্পিক সাঁতারু মেনান্ডে প্রিয় সাঁতারু তন্ময়ের। ভালো সুযোগ সুবিধা পেলে এসএ গেমসে সোনা জিততে চান তন্ময়, “যদি ভালো সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে এসএ গেমসে সোনা জিততে পারব বলে আশা করি।”