আমিনুল ইসলাম: [২] বেশ কিছুদিন ধরে রড, সিমেন্ট, ক্যাবলসহ আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট প্রায় সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে এ খাত। ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম আগে থেকেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। বিভিন্ন কারণে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় মধ্যবিত্তের ফ্ল্যাট কেনা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই আবাসন খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজন্য নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান নির্ধারণে একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।
[৩] মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যদের মধ্যে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ সাবেক এমপি লায়ন এম. এ. আউয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী রিহ্যাবের দাবির বিষয়ে অবগত হয়ে যৌক্তিক দাবি পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
[৪] নেতৃবৃন্দ জানান, আগে শুরু হওয়া প্রকল্প নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছেন অনেকে। চুক্তির বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ক্রেতার কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারছেন না। এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের কাছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
[৫] তারা বলেন, মূলত ডেভেলপাররা এলাকায় জমি-মালিকদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রকল্প হাতে নেয় এবং নির্ধারিত দামে প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতেই তা বিক্রি হয়। ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি থাকায় এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানো যায় না। আবার যেসব ফ্ল্যাট অবিক্রীত থাকে, সেগুলোর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাও পাওয়া যায় না। আবাসন খাত আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে। অনেক সময় দেখা যায় আমদানিকৃত কাঁচামালের দাম বিদেশে কমলেও আমাদের দেশে প্রোডাক্টের দাম কমে না। কিন্তু ওখানে একটু বাড়লে দেশে লাফ দিয়ে দাম বাড়ানো হয়। আবার দেশে নির্মাণসামগ্রীর মান যাচাই এ কার্যকরি তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে মান যাচাই করা খুবই জরুরি। রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য মন্ত্রণালয়, রিহ্যাব, এফবিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারের সমন্বয়ে একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার দাবি জানান, যে সেল থেকে পণ্যের দাম ও মান নির্ধারণ করা হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :