শহীদুল ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের ওপর প্রলয় গ্যাং সদস্যদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ থানায় আটক দুজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ফেরদৌস ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দূর্জয়কে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট মাহবুব আহাম্মদ। এর আগে এই দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে তারা গ্যাং সদস্যদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় তারা।
গত শনিবার রাতে কবি জসীমউদ্দিন হলের সামনে হামলার শিকার হন অপরাধ বিজ্ঞানের জোবায়ের। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় রোববার শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাদিয়া আফরোজ খান। অভিযোগে তিনি ১৯ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেন। পরে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ফেরদৌস ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দূর্জয় নামের দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ডেইলি ক্যাম্পাস
সূত্র জানায়, প্রলয় গ্যাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মারামারি, ছিনতাইয়ে জড়িতদের বেছে বেছে গ্যাং সদস্য বানায়। নিয়মিত চলে তাদের নেশার আসর। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে রয়েছে তাদের কার্যালয়ও। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের নেশাগ্রস্ত ছাত্রদের বাছাই করে তাঁরা এই গ্যাংয়ে দলের সদস্য করে। এর আগে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে গ্যাং এর কয়েকজন সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারও হয়েছেন।
সোমবার মানববন্ধনে বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, সংঘবদ্ধভাবে একজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা খুবই ভয়ানক বিষয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখি। আশা করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আগামীতে এ ধরনের গ্যাং কালচার থেকে মুক্ত থাকবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এসআই/এসবি২