শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:২২ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাদকের টাকা জোগাড় করতে ছিনতাই, ‘ছোঁ-মারা পার্টি’র ১৬ সদস্য গ্রেপ্তার 

সংবাদ সম্মেলন

মাসুদ আলম : আপনি হয়েতো ট্রেন বা বাস বা প্রাইভেটকারের জানালার পাশে আনমনে বসে আছেন, ঠিক তখনই কেউ আপনার সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী মুহূর্তের মধ্যেই ছোঁ মেরে ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। এমনই এক সংঘবদ্ধ ছিনতাই বা ছোঁ মারা পার্টির মহাজনসহ ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। 

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকায় বিসমিল্লাহ মোবাইল সার্ভিসিংয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা  হলেন- মহাজন মিজান, আমিরুল ইসলাম বাবু, শরিফ হোসন, হৃদয়, রাজ, সুমন, সোহেল বাবু, হৃদয়, মনিরুজ্জামান, নাজমুল, মনির, ইমরান, ফারুক, আশরাফুল ইসলাম সজিব, আরিফ ও হাসান। 

তাদের কাছ থেকে ১টি নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল, ৫০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল, ৪টি চাকু, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল এবং নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। রাজধানীতে ছোঁ-মারা এই পার্টির প্রায় ১০০ সদস্যের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রত্যেকের দিনপ্রতি অন্তত ৩টি মোবাইল ছিনতাইয়ের টার্গেট থাকে। সে হিসেবে ঢাকায় প্রতিদিন অন্তত ৩০০ মোবাইল ছিনতাই হয়।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)  মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ছোঁ মারা পার্টির সদস্যরা বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার কিংবা সিএনজির জানালার পাশ বসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে থাবা অথবা ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গলার চেইনসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয়। এমনকি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এরা ছিনতাই করে আসছিল। এই ছিনতাইকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্যই মাদকাসক্ত। তাদের দলনেতা হল মহাজন। ছিনতাইকারীরা যে সকল মূল্যবান দ্রব্য-সামগ্রী ছিনতাই করে, মহাজনরা তাদের কাছ থেকে সেগুলো কম দামে কিনে নেয়। এরপর ‘মহাজনরা’ নির্ধারিত দোকানে সেসব বিক্রি করেন।

তিনি আরও বলেন, এসব দোকানি তুলনামূলক কমদামী মোবাইল ক্ষেত্রে খুচরা বাজারে বিক্রি করলেও দামী মোবাইলের যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করেন। অনেক ক্ষেত্রে দামী মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি, আবার কখনো দেশের বাইরেও পাচার করে দেন। চক্রটির নেতৃত্বে মহাখালী থেকে টঙ্গী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১৫-১৬ টি স্পটে ছিনতাই কার্যক্রম চলতো।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই মাদকাসক্ত। সাধারণত মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতেই তারা ছিনতাই করে। কখনো কখনো দলনেতা তথা মহাজনরাই তাদেরকে মাদক সরবরাহ করে। যাতে তাদেরকে দিয়ে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যায়। চক্রের সদস্যরা গ্রেপ্তার হলে তাদের জামিন করানো এবং পরিবারকে অর্থ সহায়তাও করে থাকে এই মহাজনরা।


এমএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়