অনুজ দেব, চট্টগ্রাম: [২] নগরীর নাসিরাবাদে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিনাকল চার্টার্ড স্কুল এন্ড কলেজে এক নান্দনিক পিঠা উৎসবের আয়োজন হলো বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। মূলত বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিন এর সাথে অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করে বাহারি সব ফুলের প্রদর্শনীর আয়োজন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠান অঙ্গন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সবার পোশাকেই ছিল বসন্তের রঙের ছোঁয়া। বৈচিত্র্যময় সব পোশাক-পরিচ্ছদে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
[৩] এবারের উৎসবে ১৬টি স্টলে প্রায় ৪০ এর বেশি পদের বৈচিত্র্যময় পিঠার পসরা নিয়ে হাজির হন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যা উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের মনোযোগ কেড়ে নেয়। যার মধ্যে ছিল- ভাপা পিঠা, চিতই, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, পাটিসাপটা, লবঙ্গলতিকা, ফুলঝুড়ি, ধুপি, নকশি, মালাই, মালপোয়া, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেজপাতা, পানতোয়া, হাঁড়ি, ঝালপোয়া, ছাঁচ, চুটকি, চাপড়ি, ঝিনুক, সূর্যমুখী, ফুল, বিবিয়ানা, সেমাই, পাকন, ঝাল পিঠাসহ বাহারি সব পিঠা।
[৪] অধ্যক্ষ শাহীন আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সোলায়মান খান মাসুম। উৎসবের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র সেকশনের কোঅর্ডিনেটর সুলতানা নার্গিস। উৎসবে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
[৫] দর্শনার্থীরা জানান, ‘পিঠা-পুলি আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ। বর্তমানে বাজারজুড়ে ফাস্টফুডের দাপটে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পিঠা -পুলির স্বাদ ভুলতে বসেছে। পিঠা যে শুধু খাওয়া নয় বরং সবাই মিলে আনন্দ করার এক অনুষঙ্গ সেটাও টের পাওয়া যায় এই উৎসব থেকে।’
[৬] অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বসন্তের নৃত্য পরিবেশন করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিমরাহ ওয়ালিয়া প্রার্থনা, সামিরা রহমান জুহি, জুমাইনা আলী মিমহা এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী লোধ। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :