জামাল হোসেন খোকন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা): জীবননগরে গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষ। শীত থেকে রক্ষা পেতে তাদের ভরসা হয়ে উঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার।
সরেজমিনে দেখা যায়, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বর, শাহীন ক্লাবের পেছনের এলাকা ও বিভিন্ন ফুটপাতে পুরাতন পোশাকের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, ক্যাপ, মোজা ও শিশুদের শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসব দোকানে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যেই মিলছে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র।
পুরাতন কাপড় কিনতে আসা হায়দার আলী বলেন, “এখানে হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষও পোশাক কিনছেন। কম দামে প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে, তাই নিজের ও সন্তানদের জন্য কয়েকটি পোশাক নিয়েছি।”
কাপড় বিক্রেতা নাইম জানান, শীত যত বাড়ছে বিক্রিও তত বাড়ছে। “শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের শীতের কাপড় আছে আমাদের দোকানে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেচাবিক্রি হচ্ছে। শুরুতে ধার করে ব্যবসা শুরু করেছিলাম, এখন শীত আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে,” বলেন তিনি।
ভ্যানচালক সালাম জানান, নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্য না থাকায় পুরাতন পোশাকই তাদের একমাত্র ভরসা। “৫০০ টাকার মধ্যেই দুই সন্তানের শীতের কাপড় কিনতে পেরেছি,” বলেন তিনি।
এদিকে একটি এনজিওতে কর্মরত সালাম মিয়া বলেন, “নতুন শীতের পোশাক কেনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে দামে একটু বেশি হলেও সাধ্যের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।”
শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থাকায়, সামনের দিনগুলোতে জীবননগরে পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজারে ক্রেতার চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।