নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের প্রচার সম্পাদক মো. রেজাউল হক আরাফাতসহ জামায়াতের পাঁচ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নোয়াখালী-০৫ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন।
নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফখরুল ইসলামের কেন্দ্র কমিটির সমন্বয়ক গোলাম মোমিত ফয়সাল, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান এবং সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এইচ. এম. একরাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচন হবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জিং লড়াই। ইতোমধ্যে একটি দল বেহেশতের টিকিট বিক্রির নামে জনগণ ও মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। এদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তারা ইসলামের নামে রাজনীতি করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বুঝাতে হবে- স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষে ভোট দিলে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে।
বক্তারা আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গত ১৭ বছর ধরে মামলা-হামলা ও নির্যাতনের মাধ্যমে আমাদের ওপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তা জনগণ ভুলে যায়নি। আগামী নির্বাচনে সবাই ধানের শীষে ভোট দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে প্রতিহত করে দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। আমরা বিশ্বাস করি তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ধানের শীষের বিজয় মানেই বাংলাদেশ ও বেগম খালেদা জিয়ার বিজয়, আর খালেদা জিয়ার বিজয় মানেই তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী হওয়া।